কালেমা তায়্যিবা কী সহিহ হাদীসে নেই? একটি পর্যালোচনা

কালেমা তায়্যিবা কী সহিহ হাদীসে নেই? একটি পর্যালোচনা

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” নিয়ে উম্মাহর মাঝে ১৪ শত বছর কোন সংশয় ছিল না। সবাই এক বাক্যে এটাকে ইসলামের কালেমা বলে স্বীকার করেছে। ইবনে কাসির রাহি.স্পষ্টভাবে লিখেছেন যে, ইসলামের কালেমা হলো “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”।
ইদানিং সাধারণ মানুষের মাঝে কিছু মানুষ সু²ভাবে কালেমা নিয়ে সংশয় তৈরী করতে চাচ্ছেন। নিজেকে খুব বড় গবেষক প্রকাশ করতে গিয়ে পবিত্র কালেমা নিয়ে নানা ধরণের অহেতুক বক্তব্য দিচ্ছেন। যার মাঝে একটি হলো, কালেমা হাদীসে নেই! আজকের পর্বে আমরা দুটি হাদীস নিয়ে পর্যালোচনা করব ইশাআল্লাহ।

মাগাযীর প্রসিদ্ধ ইমাম হলেন ইউনুস বিন বুকাইর রহ.। তার লিখিত গ্রন্থ “যিয়াদাতুল মাগাযী”তে একটি হাদীস উল্লেখ করেছেন। হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. সাহাবাদের জীবনচরিত বিষয়ক তার লিখিত কিতাব “আল ইসাবাহ” তে হাদীসটি সেখান থেকে সনদসহ উল্লেখ করেছেন। তার পুরো ইবারত হল-
ذكره يونس بن بكير في زيادات المغازي وأخرجه الحاكم من طريق يونس عن يوسف بن صهيب عن عبد الله بن بريدة عن أبيه قال انطلق أبو ذر ونعيم بن عم أبي ذر وأنا معهم يطلب رسول الله صلى الله عليه و سلم وهو مستتر بالجبل فقال به أبو ذر يا محمد أتيناك لنسمع ما تقول قال أقول لا اله الا الله محمد رسول الله فآمن به أبو ذر وصاحبه
অর্থাৎ ইউনুস ইউসুফ বিন সুহাইবের সূত্রে, তিনি আবদুল্লাহ বিন বুরায়দা থেকে, তিনি তার পিতা বুরায়দা রা. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আবু যার এবং নুয়াইম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসন্ধানে বের হলেন। আমিও তাঁদের সাথে ছিলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন পাহাড়ের আড়ালে ছিলেন। আবু যর বললেন, হে মুহাম্মাদ, আমরা এসেছি আপনার বক্তব্য শুনার জন্য। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: আমি বলি ‘লা ইলাহা ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’। (আল্লাহ তায়ালা কোন উপাস্য নইে। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল) তখন আবু যার এবং তার সঙ্গী ইসলাম গ্রহণ করলেন”। আল ইসাবাহ, ৬/৪৬৩. শায়খ আলী মুহাম্মাদ তাহকীককৃত। দারুল যিল, বায়রুত থেকে প্রকাশিত।
এবার হাদীসের বর্ণনাকারী সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা করব।
ইউসুফ বিন সুহাইব
হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ.তার সম্পর্কে যে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন তার পুরোটাই নি¤েœ উল্লেখ করছি। তিনি বলেন,
يوسف بن صهيب الكندي الكوفي روى عن بن بريدة والشعبي وحبيب بن يسار وغيرهم وعنه جرير بن عبد الحميد ومعتمر بن سليمان وعبيدة بن حميد وعبد الله بن نمير ويحيى القطان وعبيد الله بن موسى وأبو نعيم وغيرهم قال بن معين وأبو داود ثقة وقال أبو حاتم لا بأس به وقال النسائي ليس به بأس وذكره بن حبان في الثقات قلت وروى بن شاهين في الثقات عن عثمان بن أبي شيبة قال يوسف بن صهيب ثقة وقال يعقوب بن سفيان ثنا أبو نعيم ثنا يوسف بن صهيب وهو ثقة

ইউসুফ বিন সুহাইব আল কিনদী, আল কুফী। তিনি বুরায়দা, শাবী, হাবিব বিন ইয়াসার এবং অন্যান্নদের থেকে রেওয়ায়েত করেন। তার থেকে জারির বিন আবদুল হামিদ, মু’তামির বিন সুলাইমান, উবায়দা বিন হামিদ, আবদুল্লাহ বিন নুমাইর, ইয়াহইয়া কাত্তান, উবায়দুল্লাহ বিন মুসা, আবু নুয়াইম এবং অন্যান্নরা রেওয়ায়েত করেন। ইমাম ইবনে মায়ীন এবং আবু দাউদ তাকে ছিকাহ বলেছেন। আবু হাতিম বলেন, তার বর্ণনায় কোন সমস্যা নাই। নাসায়ী রহঃ ও এমন কথা বলেছেন। ইমাম ইবনে হিব্বান ছিকাহ বর্ণনাকারীদের জীবনি সংক্রান্ত গ্রন্থ “কিতাবুছ ছিকাত”এ তার জীবনি উল্লেখ করেছেন। এছাড়া ইবনে শাহীনও উসমান বিন আবু শায়বা এবং আবু নুয়াইম থেকে বর্ণনা করেন যে, তারা তাকে ছিকাহ বলেছেন।
আবদুল্লাহ বিন বুরায়দা।
ইবনে বুরায়দা হলেন প্রসিদ্ধ তাবেয়ী। তার সম্পর্কে শুধুমাত্র হাফেজ ইবনে হাজর আসকালানী রহ.‘তাকরীবুত তাহযীব’ এর বক্তব্য উল্লেখ করছি। তিনি বলেন:
عبدالله ابن بريدة ابن الخصيب الأسلمي أبو سهل المروزي قاضيها ثقة من الثالثة مات سنة خمس ومائة وقيل بل خمس عشرة وله مائة سنة ع
অর্থাৎ আবদুল্লাহ বিন বুরায়দা আল আসলামী, আবু সাহল আল মারওয়াযী। তিনি হলেন ছিকাহ তথা বিশ^স্ত এবং গ্রহণযোগ্য বর্ণনাকারী। তাকরীবুত তাহযীব, তরজমা নং, ৩২২৭. শায়খ মুহাম্মাদ আওয়ামা দাঃবাঃ তাহকীককৃত। প্রথম সংস্করণ।
তিনি বর্ণনা করেন তার পিতা থেকে। আর বুরাইদা রা.হলেন প্রসিদ্ধ সাহাবী।

আমরা দেখতে পেলাম ইউনুস ইবনে বুকাইর এর “যিয়াদাতুল মাগাযী” এর বর্ণনার সকল রাবী ছিকাহ। সুতরাং হাদীসটি নিঃসন্দেহে সহীহ। এতএব সহীহ হাদীস দ্বারা কালেমা তায়্যিবা প্রমাণিত। এখন যদি কেউ বলে, কালেমা তায়্যিবা খৃষ্টানদের থেকে আমদানীকৃত। আরবী ব্যাকরণ দ্বারা কালেমাটি শিরক প্রমাণিত করার চরম মূর্খতা প্রদর্শন করে, তাহলে সে বুরায়দা রাঃ থেকে বর্ণিত এ হাদীসটি অস্বীকার করল! আল্লাহ আমাদের এমন মূর্খতা থেকে হেফাজত করুন। সাথে সাথে একথাও জেনে রাখা জরুরী যে, কোন বিষয় প্রমাণের জন্য একটি সহীহ হাদীস যথেষ্ট। এখানে পবিত্র কালেমার কথা আমরা স্পষ্টভাবে সহীহ হাদীসে পেলাম।

দুই নং হাদীস।
ইমাম তাবারানী “আল মু’যামুল আওসাত” থেকে একটি হাদীস সনদসহ উল্লেখ করছি।
حدثنا أحمد بن رشدين قال حدثنا عبد الغفار بن داود أبو صالح الحراني قال حدثنا حيان بن عبيد الله قال حدثنا أبو مجلز لاحق بن حميد عن بن عباس قال كانت راية رسول الله سوداء ولواؤه أبيض مكتوب عليه لا إله إلا الله محمد رسول الله لا يروى هذا الحديث عن بن عباس إلا بهذا الإسناد تفرد به حيان بن عبيد الله
ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পতাকা ছিল কালো রঙের। পতাকার টানা ছিল সাদা রঙের। তাতে লেখা লেখা ছিল ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।’ আল মু’যামুল আওসাত, হাদীস নং ২১৯, দারুল হারামাইন কাহেরা। শাযখ তারেক তাহকীককৃত।

এবার হাদীসটি সম্পর্কে প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম হাইছামীর বক্তব্য উল্লেখ করছি। তিনি বলেন,
وعن ابن عباس قال : كانت راية رسول الله صلى الله عليه و سلم سوداء ولواؤه أبيض مكتوب عليه : لا إله إلا الله محمد رسول الله
قلت : رواه الترمذي وابن ماجة خلا الكتابة عليه
رواه الطبراني في الأوسط وفيه حيان وتقدم الكلام عليه تراه قبل وبقية رجاله رجال الصحيح
হাদীসটি ইমাম তিরমিযী এবং ইবনে মাজাহ শেষাংশ ছাড়াই বর্ণনা করেছেন। আর পুরো হাদীসটি ইমাম তাবারানী রহঃ ‘আল মু’যামুল আওসাত’এ বর্ণনা করেছেন। হাদীসের একজন বর্ণনাকারী হলেন হাইয়্যান । তার ব্যাপারে আলোচনা পূর্বে গত হয়েছে। এছাড়া বাকী সকল বর্ণনাকারী সহীহ হাদীসের বর্ণনাকারী। মাযমাউয যাওয়ায়িদ, হাদীস নং ৯৬৩৯, দারুল ফিকর, বায়রুত।

ইমাম হাইছামী রহ. একজন ব্যতিত বাকী সকল বর্ণনাকারীকে সহীহ হাদীসের বর্ণনাকারী বলেছেন। এবার আসুন, হাইয়্যান সম্পর্কে জরাহ, তাদীলের ইমামদের বক্তব্য জেনে নেই।
সনদে উল্লেখিত হাইয়্যান দ্বারা উদ্দেশ্য হল হাইয়্যান বিন উবায়দুল্লাহ। হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. তার সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন-
وقال أبو حاتم صدوق وقال إسحاق بن راهويه حدثنا روح بن عبادة ثنا حيان بن عبيد الله وكان رجل صدق وذكره بن حبان في الثقات
অর্থাৎ ইমাম আবু হাতিম বলেন, হাইয়্যান হলেন সত্যবাদী। এমনিভাবে ইসহাক বিন রাহুয়াহও তাকে সত্যবাদী বলেছেন। ইমাম ইবনে হিব্বান তার রচিত ছিকাহ রাবীদের জীবনি সংক্রান্ত গ্রন্থ ‘কিতাবুস ছিকাত’এ তার জীবনী উল্লেখ করেছেন। লিসানুল মিযান ২/৩৭০, মুআসসিসাতুল আ’লামী, বায়রুত। ৩য় সংস্করণ।

এখানে আমরা দেখলাম, জরাহ, তাদীলের তিনজন ইমাম হাইয়্যানের সত্যায়ন করেছেন। কেউ কেউ আবার তাকে যয়ীফ ও বলেছেন। । এজন্য এ হাদীস সহীহ পর্যায়ের না হলেও হাসান পর্যায়ের। এছাড়া এ হাদীসের প্রামাণিকতা শক্তিশালী হয় আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত হাদীস দ্বারা। যেমনটা আমরা পূর্বে হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. এর বক্তব্য থেকে জানতে পারলাম।
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত রেওয়ায়াত ইবনে আদী রহ. “আল কামেল” এ উল্লেখ করেছেন। তিনি ইবনে আব্বাস রা.এর হাদীস উল্লেখ করার পর বলেন-
ثنا أحمد بن موسى ثنا محمد بن أبي السرى ثنا عبد الله بن وهب أخبرنا محمد بن أبي حميد عن الزهري عن سعيد بن المسيب عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم بمثله
অর্থাৎ যুহরী সায়ীদ ইবনুল মুসায়্যিব থেকে, তিনি আবু হুরায়রা রা. থেকে, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে ইবনে আব্বাসের অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আল কামিল, ইবনে আদী ২/২৫৮, মাকতাবাতুশ শামেলা
ইবনে আব্বাসের হাদীস যদি দুর্বল ধরেও নেই, তাহলে আবু হুরায়রা রা. এর এ হাদীস দ্বারা তার প্রামাণিকতা শক্তিশালী হয়ে তা হাসান পর্যায়ে চলে যায়। এটা উসূলে হাদীসের স্বীকৃত মূলনীতি। এ প্রসঙ্গে শুধুমাত্র ইমাম সাখাবী রহঃ এর একটি কথা উল্লেখ করছি। তিনি বলেন:
وكذا إذا تلقت الأمه الضعيف بالقبول يعمل به على الصحيح حتى أنه ينزل منزله المتواتر في أنه ينسخ المقطوع به
অর্থাৎ অনুরুপ উম্মত যখন কোন যয়ীফ হাদীসকে কবুল করে নেয়, তখন সহীহ কথা হল, সেই যয়ীফ হাদীস অনুযায়ী আমল করা যায়। এমনকি হাদীসটি মুতাওয়াতির পর্যায়ে পৌছে যায়। এবং তা দ্বারা বিষয়ও রহিত হয়ে যায়। ফাতহুল মুগীছ ১/২৮৯, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, লেবানন, প্রথম সংস্করণ।

বর্তমানে নতুন কিছু মানুষের আবিস্কার হয়েছে যারা যখনই শুনতে পান যে, হাদীসটি যয়ীফ, তখন আর হাদীসটির দিকে ভ্রæক্ষেপ করেননা! তাদের নিকট জাল, ভিত্তিহীন এবং যয়ীফ হাদীসের মাঝে কোন পার্থক্য নেই! জাল হাদীস যেমন পরিত্যাজ্য, যয়ীফ হাদীসও তেমন। অথচ পূর্ববর্তী যুগের হাদীস বিশারদদের দৃষ্টিভঙ্গি কখনোই এমন ছিলোনা। এপ্রসঙ্গে ইমাম সাখাবীর বক্তব্য পাঠকরা দেখলেন। তারমতে উম্মত যখন কোনো যফীফ হাদীসকে কবুল করে নেয়, সেটা তখন সহীহ হয়ে যায়। এমনকি ‘মুতাওয়াতির’ এর পর্যায়ে চলে যায়। এধরণের বক্তব্য আরো আছে। ইমাম যরকাশী রহ. বলেন,
أن الحديث الضعيف إذا تلقته الأمة بالقبول عمل به على الصحيح حتى إنه ينزل منزلة المتواتر في أنه ينسخ المقطوع
অর্থাৎ যয়ীফ হাদীসকে যখন উম্মত কবুল করে নিবে, তখন সে যয়ীফ হাদীসের উপর আমল করা হবে সহীহ হাদীসের মত। এমনকি সেটা ‘মুতাওয়াতির’ এর পর্যায়ে টলে যায়। এর দ্বারা অকাট্য কোনো বিধান রহিত হয়ে যায়। – আন নুকাত, ১/৩৯০
কথিত শায়খদের প্রিয় ব্যক্তিত্ব আল্লামা ইবনুল কায়্যিম রহ. বলেন:
فهذا الحديث وإن لم يثبت فإتصال العمل به في سائر الأمصار والأعصار من غير انكار كاف في العمل به
তিনি একটি হাদীস সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, যদিও এহাদীস প্রমাণিত নয়, কিন্তু সমস্ত শহরে কোন ধরণের আপত্তি ছাড়া এবিষয়ে আমল চলে আসা এ হাদীসের উপর আমল করার জন্য যথেষ্ট। – কিতাবুর রুহ, পৃষ্টা নং, ১৯
হাফেজ জালাল্দ্দুীন সুয়ূতি রহ. বলেন,
يحكم للحديث بالصحة إذا تلقاه الناس بالقبول وإن لم يكن له إسناد صحيح .
অর্থাৎ হাদীসকে সহীহ বলা হবে যখন ঐ হাদীসকে উম্মত কবুল করে নিবে। যদিও সে হাদীসের সহীহ কোন সনদ না থাকে। – তাদরীবুর রাবী, ১/৪২

যয়ীফ হাদীস সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু কথা পেশ করলাম। এ সম্পর্কে কেউ বিস্তারিত জানতে চাইলে আল্লামা এখানে পরিস্কারভাবে দেখলাম যে, ইমাম যারকাশী, ইবনুল কায়্যিম এবং সুয়ূতি এর মতে কোন হাদীস যদি সনদের দিক থেকে সেভাবে প্রমাণিত না হয়, কিন্তু মুসলমানদের আমল সে হাদীস অনুযায়ী হয়, তাহলে তাদের মতে সে হাদীস আমলযোগ্য। সুতরাং কালেমা সংক্রান্ত ইবনে আব্বাস রা. এর হাদীস যদিও যয়ীফ ধরে নেয়া হয়, তাহলে আপনি বলুন পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনো মুসলমান আছে যে পুরো জীবনে একবার হলেও একালেমা পড়েনি! সুতরাং ইমাম সাখাবী, যারকাশী ইবনুল কায়্যিম এবং সুয়ূতি রহ. এর স্বীকৃত মূলনীতি অনুযায়ী ইবনে আব্বাস রা. এর বর্ণিত হাদীস সহীহ। বরং ‘মুতাওয়াতির’ এর পর্যায়ের।
রপরও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মাঝে যারা কালেমা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করেন, আমরা তাদের হেদায়াতের দোয়া করি।

Check Also

সদকায়ে ফিতর টাকা দ্বারা আদায় করার দলিল নেই?

শায়খ কাজি ইবরাহিম সাহেবের ফতোয়া দেখলাম। তার বক্তব্য অনুসারে টাকা দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায়ের কথা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *