শবে বরাতের রাতে একাকি ইবাদত করা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত
শবে বরাত নিয়ে আমাদের সমাজে বাড়াবাড়ি এবং ছাড়াছাড়ি উভয়টি হচ্ছে। শবে বরাতের কোনো ফজিলত নেই একথাও যেমন ভুল, তেমনভাবে শবে বরাতকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে অনেক ধরলের কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে। কাজি ইবরাহীম সাহেব সহ আরো অনেকের বক্তব্য দেখলাম ইউটিউবে। তাদের কথা অনুযায়ী এ রাতে কোনো ধরণের ইবাদত করা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত নয়। অথচ আমরা দেখি এ রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাকি ইবাদত করেছেন।
আয়েশা রা. বর্ণনা করেন,
قام رسول الله صلى الله عليه و سلم من الليل يصلي فأطال السجود حتى ظننت أنه قد قبض فلما رأيت ذلك قمت حتى حركت إبهامه فتحرك فرجعت فلما رفع إلي رأسه من السجود و فرغ من صلاته قال : يا عائشة أو يا حميراء أظننت أن النبي قد خاس بك قلت : لا و الله يا رسول الله و لكنني ظننت أنك قبضت لطول سجودك فقال : أتدرين أي ليلة هذه ؟ قلت : الله و رسوله أعلم قال : هذه ليلة النصف من شعبان إن الله عز و جل يطلع على عباده في ليلة النصف من شعبان فيغفر للمستغفرين و يرحم المسترحمين و يؤخر أهل الحقد كما هم
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা রাতে জাগলেন এবং নামায পড়লেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এত দীর্ঘ নামায পড়লেন যে, আমি ধারণা করলাম, তিনি মারা গেছেন। এ অবস্থা দেখে আমি দাঁড়িয়ে তাঁর আঙ্গুল নাড়া দিলাম। তখন তিনি নড়লেন। আমি ফিরে এলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সিজদা থেকে মাথা তুললেন এবং নামায শেষ করলেন, তখন তিনি বললেন, হে আয়েশা! তুমি কি ধারণা করেছ যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। আমি বললাম, না। আপনার সিজদার দীর্ঘতার কারণে আমি ধারণা করেছি যে আপনি মারা গেছেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি কি জানো আজকে কোনো রাত্রি? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল ভালো জানেন। তিনি বললেন, আজকে হলো শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা সমস্ত সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকান। ক্ষমাপ্রার্থীদের আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। অনুগ্রহপ্রার্থীদের উপর আল্লাহ অনুগ্রহ করেন। তবে হিংসুকদের আল্লাহ মাফ করেননা।(. শুআবুল ঈমান, হাদীস নং ৩৮৩৫, সাইদ যাগলুল তাহকীককৃত)
হাদীসটি বর্ণনা করার পর ইমাম বায়হাকী রহ. বলেন,
هذا مرسل جيد و يحتمل أن يكون العلا بن الحارث أخذه من مكحول و الله أعلم
অর্থাৎ মুরসাল হলেও হাদীসটি গ্রহণযোগ্য। আলা বিন হারিছ সরাসরি আয়েশা রা. থেকে শুনেননি। তিনি সম্ভবত মাকহুল থেকে শুনেছেন।
বায়হাকীর বর্ণনায় আয়েশা রা. থেকে বর্ণনা করেছেন আলা বিন হারিছ। ভিন্ন আরেক সনদে উরওয়া রহ. আয়েশা রা. থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। সে বর্ণনা হলো-
فقدت رسول الله صلى الله عليه و سلم ليلة فخرجت فإذا هو بالبقيع فقال أكنت تخافين أن يحيف الله عليك ورسوله ؟ قلت يا رسول الله إني ظننت أنك أتيت بعض نساءك فقال إن الله عز و جل ينزل ليلة النصف من شعبان إلى السماء الدنيا فيفغر لأكثر من عدد شعر غنم كلب
অর্থাৎ এক রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি হারিয়ে ফেললাম। আমি খোঁজে বের হলাম। জান্নাতুল বাকীতে তাকে পেলাম। তিনি বললেন, তুমি কি ভয় করেছো যে আল্লাহ তার রাসূলের উপর অত্যাচার করেছেন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমি ধারণা করেছি যে আপনি অন্য কোনো স্ত্রীর কাছে এসেছেন! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওযা সাল্লাম বললেন, আল্লাহ তায়ালা শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং বনু কালব গোত্রের বকরীর পশমের সংখ্যার চেয়ে বেশি মানুষকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দেন। (তিরমিযী, হাদীস নং ৭৩৯, শায়খ আহমদ শাকের তাহকীককৃত। ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১৩৮৯, শায়খ ফুয়াদ আবদুল বাকী তাহকীককৃত)
ইমাম তিরমিযী রহ. হাদীসটি বর্ণনা করার পর বলেন,
حديث عائشة لا نعرفه إلا من هذا الوجه من حديث الحجاج وسمعت محمدا يضعف هذا الحديث وقال يحيى بن أبي كثير لم يسمع من عروة و الحجاج بن أرطا لم يسمع من يحيى بن أبي كثير
অর্থাৎ হাজ্জাজের সনদ ছাড়া অন্য কোনো সনদে আয়েশা রা. এর হাদীস বর্ণিত হয়েছে বলে আমরা জানতে পারিনি। ইমাম বুখারী হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন। তিনি বলেন, ইয়াহইয়া বিন আবু কাছীর উরওয়া থেকে শুনেননি। এমনভাবে হাজ্জাজ বিন আরতাতও ইয়াহইয়া বিন আবু কাছীর থেকে শুনেননি।
তিরমিযীর হাদীসটি যদিও দুর্বল, কিন্তু এ হাদীস দ্বারা পূর্বোক্ত আলা বিন হারিছ এর হাদীসের প্রামাণিকতা শক্তিশালী হয়।
এমনভাবে আয়েশা রা. থেকে আনাছ বিন মালেক রা. ও বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনা হলো-
بعثني النبي صلى الله عليه و سلم إلى منزل عائشة رضي الله عنها في حاجة فقلت لها أسرعي فإني تركت رسو الله صلى الله عليه و سلم يحدثهم عن ليلة النصف من شعبان فقالت يا أنيس اجلس حتى أحدثك بحديث ليلة النصف من شعبان وإن تلك الليلة كانت ليلتي من رسول الله صلى الله عليه و سلم فجاء النبي صلى الله عليه و سلم ودخل معي في لحافي فانتبهت من الليل فلم أجده فقمت فطفت في حجرات نسائه فلم أجده فقلت لعله ذهب إلى جاريته مارية القبطية فخرجت فمررت في المسجد فوقع رجلي عليه وهو ساجد وهو يقول سجد لك سوادي وخيالي وآمن بك فؤادي وهذه يدي جنيت بها على نفسي فيا عظيم هل يغفر الذنب العظيم إلا الرب العظيم فاغفر لي الذنب العظيم قالت ثم رفع رأسه وهو يقول اللهم هب لي قلبا تقيا نقيا من الشر بريا لا كافرا ولا شقيا ثم عاد وسجد وهو يقول أقول لك كما قال أخي داود عليه السلام أعفر وجهي في التراب لسيدي وحق لوجه سيدي [ ১৫ أ ] أن تعفر الوجوه لوجهه ثم رفع رأسه فقلت بأبي وأمي أنت في واد وأنا في واد قال يا حميراء أما تعلمين أن هذه الليلة ليلة النصف من شعبان إن لله في هذه الليلة عتقاء من النار بقدر شعر غنم كلب قلت يا رسول الله وما بال شعر غنم كلب قال لم يكن في العرب قبيلة قوم أكبر غنما منهم لا أقول ستة نفر مدمن خمر ولا عاق لوالديه ولا مصر على زنا ولا مصارم ولا مصور ولا قتات
অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বিশেষ প্রয়োজনে আয়েশার গৃহে প্রেরণ করলেন। আমি আয়েশাকে বললাম, দ্রæত যান। আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেখে এসেছি তিনি শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতের ফযীলত বর্ণনা করছেন। তিনি বললেন, হে উনাইছ, তুমি বসো যাতে আমি শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতের ফযীলত বর্ণনা করতে পারি। শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার গৃহে ছিলেন। রাতে হঠাৎ আমি জাগ্রত হলাম। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পেলাম না। আমি তাকে অন্যান্য স্ত্রীদের গৃহে খুঁজলাম। কিন্তু তাকে পেলামনা। আমি বললাম, সম্ভবত তিনি তাঁর বাদী মারিয়া কিবতিয়ার কাছে গেছেন। এরপর আমি বের হয়ে মসজিদে গেলাম আমার পা তাকে স্পর্শ করলো। এমতাবস্থায় তিনি সিজদারত ছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বলছিলেন: “আপনাকে আমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সিজদা করে। আমার অন্তর আপনার উপর ঈমান এনেছে। আমার হাত দ্বারা নিজের উপর অত্যাচার করেছি। আপনার মত মহানুভব ছাড়া কে আমাকে ক্ষমা করবে। আপনি আমার ভুল-ত্রæটি ক্ষমা করে দিন”।
আয়েশা রা. বলেন, এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদা থেকে মাথা তুললেন এবং বললেন,“হে আল্লাহ আপনি আমাকে অনিষ্ট এবং লৌকিকতামুক্ত পূত পবিত্র কলব দান করুন। কাফের এবং অভাগাদের হৃদয়ের কলব থেকে বাঁচিয়ে রাখুন”।
এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূণরায় সিজদা করলেন এবং এই দোয়া পড়লেন: “আমি আপনার নিকট ঐভাবে বলছি যেমনভাবে বলেছেন আমার ভাই দাউদ আ.। আমি আমার মালিকের জন্য চেহারাকে ধুলোয় ধুসরিত করছি।
এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা তুললেন। আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! আপনি এক উপাত্যকায়, আর আমি আরেক উপাত্যকায়।
তিনি বললেন, হে হুমায়রা, তুমি কি জানো যে আজকের রাত শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত। এই রাতে বনু কালব গোত্রের বকরীর পশম পরিমাণ জাহান্নামী লোককে আল্লাহ তায়ালা মুক্তি দান করেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, বনী কালব গোত্রেব বকরীর পশমের হেতু কী? তিনি বললেন, আরবের গোত্রের মাঝে বনু কালবের বকরীর পশম সবচেয়ে বেশি। তবে ছয় প্রকারের লোকদের ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারছিনা। (অর্থাৎ আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন কি না?) সর্বদা মদপানকারী, পিতা মাতার অবাধ্য। বারবার যিনাকারী। সম্পর্ক ছিন্নকারী, ছবি অংকনকারী, চোখলগোর। (ফাযায়িলুল আওকাত, বায়হাকী, হাদীস নং ২৭, মাকতাবাতুল মানারাহ)
হাদীসের সনদে ইবরাহীম বিন ইসহাক নামের একজন বর্ণনাকারী রয়েছে। তিনি হলেন দুর্বল। এছাড়া সাঈদ বিন আবদুল কারীম আল ওয়াসীতী নামের আরেকজন বর্ণনাকারী রয়েছে। ইমাম আযদী তাকে ‘মাতরুক’ বলেছেন। ইমাম যাহাবী ‘মিজানুল এতেদাল’-এ তার জীবনীতে এ হাদীস উল্লেখ করেছেন। আর ইমাম যাহাবীর মূলনীতি হলো: যদি কোনো বর্ণনাকারীর কোনো মাতরুক বা বাতিল রেওয়ায়াত থাকে, তাহলে তিনি সেটা তার জীবনীর সাথে জুড়ে দেন। মোটকথা হলো, আনাছ রা. এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসটিও দুর্বল।
আয়েশা রা. এর থেকে আবু সাইদ খুদরী রা. ও এ মর্মে হাদীস বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি ইমাম বায়হাকী ‘শুআবুল ঈমান’ এ উল্লেখ করেছেন। এখানে শুধু হাদীসের আরবী পাঠ উল্লেখ করছি।
عن أبي رهم أن أبا سعيد الخدري دخل على عائشة فقالت له عائشة ণ يا أبا سعيد حدثني بشيء سمعته من رسول الله صلى الله عليه و سلم و أحدثك بما رأيته يصنع قال أبو سعيد كان رسول الله صلى الله عليه و سلم إذا خرج إلى صلاة الصبح قال :
اللهم املء سمعي نورا و بصري نورا و من بين يدي نورا و من خلفي نورا و عن يميني نورا و عن شمالي نورا و من فوقي نورا و من تحتي نورا و عظم لي النور برحمتك
و في رواية محمد و أعظم لي نورا
قالت عائشة دخل علي رسول الله صلى الله عليه و سلم فوضع عنه ثوبيه ثم لم يستتم أن قام فلبسهما فأخذتني غيرة شديدة فظننت أنه يأتي بعض صويحباتي فخرجت اتبعه فأدركته بالبقيع بقيع الغرقد يستغفر للمؤمنين و المؤمنات و الشهداء فقلت بأبي و أمي أنت في حاجة ربك و أنا في حاجة الدنيا فانصرفت فدخلت حجرتي و لي نفس عال و لحقني رسول الله صلى الله عليه و سلم فقال :
ما هذا النفس يا عائشة ؟
فقالت بأبي و أمي أتيتني فوضعت عنك ثوبيك ثم لم تستتم أن قمت فلبستهما فأخذتني غيرة شديدة ظننت أنك تأتي بعض صويحباتي حتى رأيتك بالبقيع تصنع ما تصنع قال :
يا عائشة أكنت تخافين أن يحيف الله عليك و رسوله بل أتاني جبريل عليه السلام فقال هذه الليلة ليلة النصف من شعبان و لله فيها عتقاء من النار بعدد شعور غنم كلب لا ينظر الله فيها إلى مشرك و لا إلى مشاحن و لا إلى قاطع رحم و لا إلى مسبل و لا إلى عاق لوالديه و لا إلى مدمن خمر قال : ثم وضع عنه ثوبيه فقال لي يا عائشة تأذنين لي في قيام هذه الليلة
فقلت : نعم بأبي و أمي فقام فسجد ليلا طويلا حتى ظننت أنه قبض فقمت التمسته و وضعت يدي على باطن قدميه فتحرك ففرحت و سمعته يقول في سجوده :
أعوذ بعفوك من عقابك و أعوذ برضاك من سخطك و أعوذ بك منك جل وجهك لا أحصي ثناء عليك أنت كما أثنيت على نفسك
فلما أصبح ذكرتهن له فقال :
يا عائشة تعلمتهن ؟ فقلت : نعم فقال : تعلميهن و علميهن فإن جبريل عليه السلام علمنيهن و أمرني أن أرددهن في السجود
ইমাম বায়হাকী হাদীস বর্ণনার পর বলেন,
و هذا إسناد ضعيف و روى من وجه آخر
অর্থাৎ হাদীসটির সনদ দুর্বল। তবে হাদীসটি অন্য আরেকটি সনদে বর্ণিত হয়েছে। (শুআবুল ঈমান, হাদীস নং ৩৮৩৭, সাইদ যাগলুল তাহকীককৃত)
আয়েশা রা. থেকে বিভিন্ন সনদে হাদীস থেকে একথা প্রমাণিত রয়েছে যে, শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতের ফযীলত রয়েছে। সে রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের ক্ষমা করে দেন। যে বিষয় দুটি মুয়ায রা. এর সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে, আমাদের দেশে ইদানীং কিছু ভাই বলে থাকেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতের ফযীলত প্রমাণিত রয়েছে। কিন্তু তাঁর থেকে সে রাতে কোনো আমল প্রমাণিত নয়।
তাদের এ কথাও সঠিক নয়। কেননা আয়েশা রা. এর রেওয়ায়াতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে রাতের ইবাদত করার বর্ণিত হয়েছে। প্রথম রেওয়ায়াতকে ইমাম বায়হাকী মুরসাল হওয়া সত্তে¡ও গ্রহণযোগ্য বলেছেন।
এছাড়া সহীহ হাদীস দ্বারা এ কথা প্রমাণিত যে, সে রাতে আল্লাহ তায়ালা সমস্ত সৃষ্টির দিকে রহমতের দিকে তাকান। আর স্বাভাবিক কথা হলো: যে রাতে আল্লাহ রহমতের দৃষ্টি দিয়ে বান্দার দিকে তাকান, সে রাতে বান্দা আল্লাহর ইবাদত করবে। নামায পড়বে। তবে একাকী। এজন্য ইবাদত প্রমাণিত নয় কথাটি এক ধরণের হাস্যকর হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন।