সাহাবাদের মধ্যকার যুদ্ধ সম্পর্কে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের অবস্থান

সাহাবাদের মধ্যকার যুদ্ধ সম্পর্কে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের অবস্থান

সাহবাদের মাঝে যে সমস্ত যুদ্ধ হয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতো হলো, এ ব্যাপারে আমাদের চুপ থাকতে হবে। কোনো দলই হিংসা, বিদ্ধেষ বা শত্রুতার কারণে একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ করেননি। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামআতের মতে মানুষের জন্য সকল সাহাবাকে ভালোবাসা এবং সকলের ওপর সন্তুষ্ট থাকা ওয়াজিব। সকলের জন্য দুআ করবে। সকলের মর্যাদা স্বীকার করবে। তাঁদের মাঝে ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে ইজতেহাদের কারণে। এ জন্য তাঁরা সকলে সওয়াবের অধিকারী হবেন। যুদ্ধে হত্যাকারী এবং নিহত সকলেই বেহেশতে যাবেন। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতে সাহাবাদের মধ্যকার যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত হওয়া জায়েজ নেই। এ সম্পর্কে আমি প্রথমে কিছু নস উল্লেখ করছি। যেখানে এ সম্পর্কে ইশারা করা হয়েছে।

  • আল্লাহ তাআলা বলেন,

‘যদি মুসলমানদের দুটি দল পরস্পর যুদ্ধ করে, তাহলে উভয় দলের মাঝে তোমরা সন্ধি করে দাও। যদি কোনো দল বিদ্রোহি হয়, তাহলে তোমরা তাঁদের সঙ্গে যুদ্ধ করো। যদি তাঁরা ফিরে আসে, তাহলে ইনসাফের সঙ্গে তাঁদের মধ্যে সন্ধি করিয়ে দাও। তোমরা ইনসাফ করো। আল্লাহ তাআলা ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা হুজরাত, আয়তা নং ৭)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের মাঝে সিন্ধ করিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ, তাঁরা সকলে ভাই ভাই। এ যুদ্ধের কারণে তাঁদের অন্তর থেকে ঈমান বের হবে না। আল্লাহ তাআলা তাঁদেরকে মুমিন বলেছেন। সুতরাং সাহাবায়ে কেরাম পরস্পর যুদ্ধ করলেও তাঁরা প্রকৃত মুমিন। যুদ্ধ করলেও তাঁদের ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ, তাঁরা ইজতেহাদের ওপর ভিত্তি করে যুদ্ধ করেছেন।

  • আবু সাইদ খুদরি রা. বর্ণনা করেন, রাসুল সা. বলেন,

‘মুসলমানদের একটি দল মতভিন্নতা করে বেরিয়ে যাবে। উভয় দল হকের ওপর থেকে একে অপরর সঙ্গে যুদ্ধ করবে।’মুসলিম: ২/৭৪৫।

 

এ হাদিসে মতভিন্নতা করে একটি দল বের হওয়ার দ্বারা আলি রা. এবং মুআবিয়া রা.-এর যুদ্ধের দিকে ইশারা করা হয়েছে। রাসুল সা. বলেছেন উভয় দল থাকবে হকের ওপর। এ হাদিসে দুটি দল দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, ইরাকবাসী এবং সিরিয়বাসী। রাফেজি এবং সিরিয়ার কাফির উদ্দেশ্য নয়, যেমনটা কেউ কেউ বলেছেন। এ হাদিস থেকে বোঝা গেল, আলি রা. হকের অধিক নিকটবর্তী। আর আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামআতের মতো যে, আলি রা. ছিলেন সঠিক। মুআবিয়া রা. মুজতাহিদ ছিলেন, এ জন্য তিনিও আল্লাহর কাছে সওয়াব পাবেন। কিন্তু আলি রা. সঠিক হওয়ার কারণে তিনি পাবেন দ্বিগুণ সওয়াব। যেমনটা রাসুল সা. হাদিসে বলেছেন যে, ‘মুজতাহিদ ভুল করলে এক গুণ নেকি পাবে। শুদ্ধ করলে দ্বিগুণ সওয়াব পাবে।’

  • আবু বকরা রা. বর্ণনা করেন, রাসুল সা. একদা খুতবা দিচ্ছিলেন। এমন সময় হাসান রা. আসলেন। রাসুল সা. বলেন,

‘আমার নাতি হবে নেতা। আল্লাহ তাআলা তাঁর মাধ্যমে মুসলমানদের দুটি দলের মাঝে সন্ধি করাবেন।’ বুখারি: হাদিস নং ৭১০৯।

 

এ হাদিসে রাসুল সা. উভয় দল তথা ইরাকবাসী একং সিরিয়াবাসী মুসলমান হওয়ার সাক্ষী দিয়েছেন। এ হাদিস খারিজিদের স্পষ্ট জবাব হয়ে যায়। কারণ, তাঁরা আলি রা. এবং মুআবিয়া কে কাফির মনে করে। কিন্তু এ হাদিসে বলা হচ্ছে, উভয় দল হলো মুসলমান। এ জন্য ইবনে উয়াইনা রাহ. বলেন,

‘উভয় দল মুসলমান হবে’ আমার কাছে অনেক পছন্দনীয়।’ বায়হাকি বলেন,

‘তারা আশ্চর্য হয়েছিলেন। কারণ, রাসুল সা. সকলকে মুসলমান বলেছেন। রাসুল সা.-এর হাদিসের সত্যায়ন হয় আলি রা.-এর ইনতেকালের পর। হাসান রা. খেলাফতের দাবি থেকে সরে গিয়ে মুআবিয়াকে খলিফা মেনে সন্ধি করেন।’ আল ইতিকাদ: ১৯৮, বায়হাকি। ফাতহুল বারি: ১৩/৬৬।

 

পূর্বোক্ত হাদিসগুলো থেকে বোঝা যায় যে, ইরাকবাসী এবং সিরিয়াবাসী সকলেই রাসুল সা.-এর উম্মত। এ ছাড়া তাঁরা সকলেই হক। তাঁরা সর্বদা ঈমানের ওপর ছিল। যুদ্ধ করার কারণে তাঁদের ঈমান বের হয়ে যায়নি। কুরআনের আয়াতটি সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাঁরা যুদ্ধের কারণে কাফির বা ফাসেক ছিলেন না; বরং ইজতেহাদ করে যুদ্ধ করেছেন। এ জন্য একজন মুসলমানের জন্য ওয়াজিব হলো, সে সাহাবাদের উভয় দলকে মুক্তিপ্রাপ্ত দল মনে করবে। অযথা এগুলো নিয়ে আলোচনায় মত্ত হবে না। আহলুস সুন্নাতের কিতাবাদিতে প্রচুর পরিমাণে এ বিষয়ে পরিষ্কার আকিদা বর্ণনা করা হয়েছে।

 

এখানে আমি কয়েকজনের বক্তব্য উল্লেখ করছি।

১. উমর বিন আবদুল আজিজ রাহ.-কে সাহাবাদের মধ্যকার যুদ্ধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো। তিনি বলেন,

‘এ রক্ত থেকে আল্লাহ তাআলা আমার হাতকে পবিত্র রেখেছেন। আমি কী আমার মুখ কে পবিত্র রাখব না? সাহাবাদের উদাহরণ হলো চোখের মত। চোখের রোগ হলে ওষুধ হলো, চোখকে স্পর্শ না করা।’

ইমাম বায়হাকি রাহ. উমর আবদুল আজিজ রাহ. এর কথার সঙ্গে মিলিয়ে বলেন, ‘এটা উত্তম পন্থা। কেননা, ইসলামধর্মে অযথা কাজ ছেড়ে দেওয়া হলো সওয়াবের কাজ।’ মানাকিবুশ শাফেয়ি: ১৩৬।

 

২. হাসান বসরি রাহ.-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,

‘সাহাবারা যুদ্ধ করেছেন। এরপর তাঁরা চলে গেছেন। আমরা জেনেছি। পরে আবার ভুলে গেছি। তাঁরা ঐক্যমত হয়েছেন। আমরা তাঁদের অনুসরণ করেছি। মতবিরোধ করলে বিরত থেকেছি। আল জামে লিআহকামিল কুরআন: ১৬/৩৩২।

হাসান বসরি রাহ. এর কথা থেকে বোঝা যায় যে, যুদ্ধ সম্পর্কে আমাদের থেকে সাহাবায়ে কেরাম বেশি জানতেন। আমাদের জন্য জরুরি হলো, যে বিষয়ে তাঁরা একমত ছিলেন, সে সমস্ত বিষয়ের অনুসরণ করা। মতভিন্নতার ক্ষেত্রে আমরা বিরত থাকব। নতুন কোনো মতো আবিষ্কার করব না। তাঁরা যা করেছেন, ইজতেহাদ করে করেছেন। তাঁদের মাঝে ইখলাসের কমতি ছিল না। এজন্য তাঁদের ওপর অপবাদ আরোপ করা যাবে না।’

 

৩. ইমাম জাফর সাদেককে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,

‘এ সম্পর্কে আমি তাই বলব যা আল্লাহ তাআলা বলেছেন। ‘এর ইলম রয়েছে আমার প্রতিপালকের নিকট। আমার প্রভু আমাকে পথভ্রষ্ট করবেন না ‘(তাহা : ৫২) এর ইলম রয়েছে আমার প্রভুর কাছে। আমার রব সেটা আমাদের জানান নি।’ আল ইনসাফ: বাকিল্লানি, ১৬৪।

 

৪. ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রাহ.-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,

‘সাহাবাদের যুদ্ধ বিষয়ে আমি ভালো ছাড়া অন্য কোনো কিছু বলব না।’ মানাকিবুল ইমাম আহমদ:  ১৬৪, ইবনুল জাওজি।

ইবরাহিম বিন আরুজ বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি ইমাম আহমদ বিন হাম্বলের নিকট উপস্থিত হয়ে আলি রা. এবং মুআবিয়া রা.-এর যুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে গেলেন। তাঁকে বলা হলো, এই লোক বনি হাশেম গোত্র থেকে আপনার নিকট এসেছে। তিনি বললেন,

‘তাকে তোমরা এ আয়াত পড়ে শুনিয়ে দাও ‘তারা একটি উম্মত আমাদের পূর্বে গত হয়েছে। তাঁরা তাঁদের অর্জন পেয়ে গেছে। তোমরা তোমাদের অর্জন পাবে। সুতরাং তাঁদের আমল নিয়ে তোমরা প্রশ্ন করো না। (বাকারা : ১৪১)

 

৫. ইমাম আবু জায়দ আলকায়রুয়ানি রাহ. বলেন,

‘মুসলমানরা সর্বদা সাহাবাদের উত্তম দিকগুলোর আলোচনা করবে। তাঁদের মধ্যকার যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করবে না। তাঁদের উত্তম দিকগুলো নিয়ে আলোচনার তাঁরা অধিক হকদার।’ আছ ছামারুদ দানি: ২৩।

 

৬. ইমাম আবু বকর বাকিল্লানি রাহ. বলেন,

‘আমাদের জন্য ওয়াজিব হলো, সাহাবাদের মধ্যকার যুদ্ধ সম্পর্কে নীরব থাকা। আমরা সকলের জন্য দুআ করব। আমাদের বিশ্বাস আলি রা.-এর মতো সঠিক ছিল। এ জন্য তিনি দ্বিগুণ সওয়াব পাবেন। তাঁর বিপরীতে যে সকল সাহাবা ছিলেন, তাঁরা একগুণ নেকি পাবেন। আমরা কাউকে ফাসেক বা বেদয়াতি বলব না। কারণ, আল্লাহ তাআলা তাঁদের ওপর সন্তুষ্ট থাকার কথা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা দিয়েছেন। সুতারং সাহাবাদের যুদ্ধের ব্যাপারে আমাদের চুপ থাকা ওয়াজিব।’ আশ শারহু ওয়াল ইবানাহ আলা উসুলিস সুন্নাহ: ২৬৮।

 

৭. আবু আবদিল্লাহ বিন বাত্তা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামআতের আকিদা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,

‘সাহাবায়ে কেরামের মধ্যকার যুদ্ধ নিয়ে বাড়াবাড়ি করা থেকে আমাদের বেঁচে থাকেতে হবে। হাশরের ময়দানে তাঁরা রাসুল সা. এর সাথে থাকবেন। মানুষদের মাঝে সবচেয়ে মর্যাদাবান হবেন তারা। আল্লাহ তাআলা তাঁদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। তোমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করতে এবং তাঁদের ভালোবেসে আল্লাহর নৈকট্যলাভ করতে। তাঁদের পরস্পর যুদ্ধ হলেও সেটা আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিয়েছেন।’ আশ শারহু ওয়াল ইবানাহ আলা উসুলিস সুন্নাহ ওয়াদ দিয়ানাহ: ২৬৮।

 

 

৮. আবু বকর বিন তায়্যিব বাকিল্লানি রাহি. বলেন,

‘সাহাবাদের মধ্যকার যুদ্ধ নিয়ে খারাপ মন্তব্য করার অনুমতি আমাদের নেই। আমরা তাঁদের প্রশংসা করব এবং তাঁদের জন্য রহমত এবং মাগফিরাতের দোয়া করব। আমাদে আকিদা হলো, আলি রা.-এর প্রত্যেকটি কাজ বিশুদ্ধ। এর কারণে তিনি দুটি সওয়াবের অধিকার হবেন। মূলত ইজতেহাদের কারণে সাহাবায়ে কেরামের মাঝে এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। এ কারণে সকলেই সওয়াবের অধিকারী হবেন। তাঁদের কেউ পাপ কাজ কিংবা বেদআত করেননি। কারণ, তাঁদের ওপর আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা পবিত্র কুরআনে ঘোষিত হয়েছে।

এমনভাবে রাসুল সা. এর ভাষ্যনুযায়ী মুজতাহিদ বিশুদ্ধ ইজতেহাদ করলে দুটি নেকির এবং ভুল ইজতেহাদ করলে একটি নেকির অধিকারী হবে। যাদের ওপর আল্লাহ তাআলা নিজে সন্তুষ্টির ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁদের ইজতেহাদের ব্যাপারে আপনার কী মত? আর উভয় দল সঠিক হওয়ার ব্যাপারে রাসুল সা. এর হাদিস রয়েছে। রাসুল সা. হাসান রা.-এর ব্যাপারে বলেন,       ‘আমার এ নাতির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা উম্মাহর বিভেদমান দুটি দলের মাঝে সন্ধি করবেন।’

এ হাদিস থেকে উভয় দলের বড়ত্ব প্রমাণিত হয়। তিনি উভয় দলকে মুসলমান বলেছেন। আপনি তাঁদের ইসলাম থেকে বের করে দেওয়ার কে? এজন্য এ ব্যাপারে আমাদের জন্য চুৃপ থাকা ওয়াজিব।’ আল ইনসাফ: ৬৭-৬৯।

 

৯. শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহ. বলেন,

‘সাহাবাদের পরস্পর যুদ্ধ সম্পর্কে আমরা আলোচনা করা থেকে চুপ থাকব। তাঁদের মন্দ আলোচনা সম্পর্কিত বর্ণনাগুলো মিথ্যা। কোথাও বাড়ানো হয়েছে, আবার কোথাও কমানো হয়েছে। বিশুদ্ধ কথা হলো, তাঁরা মাজুর। কেউ কেউ সঠিক ইজতেহাদ করেছেন। আবার কেউ কেউ ভুল ইজতেহাদ করেছেন। ‍কিন্তু উভয়দল সওয়াবের অধিকারী হবে।’ আলআকিদাতুল ওয়াসিতিয়্যাহ: ১৭৩।

 

১০. হাফিজ ইবনে কাসির রাহ. বলেন,

‘সাহাবাদের পরস্পর কিছু যুদ্ধ অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়ে গেছে। যেমন, জংগে জামাল। আবার কিছু যুদ্ধ হয়েছে ইজতেহাদের কারণে। যেমন, সিফফিন যুদ্ধ। আর মুজতাহিদ কখনো সঠিক করেন। আবার কখনো ভুল করেন। ভুল করলে একগুণ নেকি পাবেন। শুদ্ধ করলে দ্বিগুণ নেকি পাবেন।’ আল বাইছুল হাছিছ: ১৮২।

 

১১. হাফিজ ইবনে হাজার রাহ. বলেন,

‘সাহাবাদের পরস্পর যুদ্ধের কারণে কাউকে খারাপ বলা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামআতের ঐক্যমতে জায়েজ নেই। কারণ, তাঁরা ইজতেহাদের ওপর ভিত্তি করে যুদ্ধ করেছেন।’ ফাতহুল বারি: ১৩/৬৩৪।

 

মূলকথা হলো, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামআতের সকল ইমামগণের মতে সাহাবাদের পরস্পর যুদ্ধ সম্পর্কে চুপ থাকা ওয়াজিব। কারণ, তাঁরা ইজতেহাদের ওপর ভিত্তি করে যুদ্ধ করেছেন। ইজতেহাদে ভুল করলেও তাঁরা একটি নেকির অধিকারী হবেন। আমরা সকলের ওপর রহমের দুআ করব। সকলের মর্যাদা স্বীকার করব। তাঁদের উত্তম দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করব।

Check Also

সদকায়ে ফিতর টাকা দ্বারা আদায় করার দলিল নেই?

শায়খ কাজি ইবরাহিম সাহেবের ফতোয়া দেখলাম। তার বক্তব্য অনুসারে টাকা দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায়ের কথা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *