দাসপ্রথা নিয়ে প্রাচ্যবিদদের অভিযোগ এবং জবাব

দাস! একটি শব্দ। ভাবলে যে কারো খারাপ লাগে। মানুষ সৃষ্টিগতভাবে আল্লাহ তায়ালার শ্রেষ্ঠ মাখলুক। সে মানুষ অন্য কারো দাস থাকবে, ভাবতে গেলেই চিন্তার রাজ্যে ঝড় উঠে। তারপরও সৃষ্টি শুরু থেকে দাসপ্রথা ছিলো। বিভিন্ন কারণে মানুষ অপর মানুষকে দাস বানিয়ে রাখতো!

মধ্যযুগের অন্ধকার দূর করেছিলো ইসলাম। জাহেলি যুগের বিভিন্ন ক‚সংস্কারকে ইসলাম মিটিয়ে দিয়েছিলো। কিন্তু দাসপ্রথাকে ইসলাম বিলুপ্ত করেনি। এ নিয়ে প্রাচ্যবিদদের মাথা ব্যথার শেষ নেই। হাল জামানার নাস্তিকরাও এ ব্যাপারে ইসলাম ধর্মকে অভিযুক্ত করেন! একে পূঁজি করে খুব সুক্ষ্মভাবে  তারা ইসলাম সম্পর্কে মানুষের অন্তরে সন্দেহের বীজ বপনের ঘৃণ্য চেষ্টা করে।

কূখ্যাত প্রাচ্যবিদ উইলিয়াম মুইর (মৃত্যু, ২১ জুলাই, ১৯০৫) ‘দি লাইফ অব মুহাম্মাদ’ নামে একটি বই লিখেছে। ইসলামের ইতিহাস নিয়েও সে ব্যাপক পড়াশুনা এবং লেখালেখি করেছে। দাসপ্রথা নিয়ে সে ইসলাম ধর্মের মারাত্ম সমালোচনা করেছে সে। প্রমাণ করতে চেয়েছে যে, আসলেই ইসলাম কোনো মানবীক ধর্ম নয়। দাসপ্রথার মতো বহুল বিতর্কিত ক‚প্রথাকে ইসলাম বিলুপ্ত করেনি। বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে ইসলামকে আঘাত করার এটি একটি কৌশল।

আমরা জানি যে, ইসলামের পূর্বে পৃথিবীতে বৃহৎ দুটি সভ্যতা ছিলো। একটি হলো রোমান সভ্যতা এবং অপরটি হলো পারস্য সভ্যতা। সভ্যতার লোভে তারা বছরের পর যুদ্ধ করতেই থাকতো। যারা বিজয়লাভ করত, তারা বিপক্ষের সকল পুরুষকে বন্দি করে রাখত। পশুর মতো খাটাতো। নারীদের গণহারে ধর্ষণ করত। দাসদের মানবীক অধিকার বলে কোনো জিনিস ছিলো না। এমনকি অনেক সময় রাতে তারা চতুষ্পদ জন্তুর সাথে ঘুমাতো।

কিন্তু দেখুন ইসলাম দাসদের সম্পর্কে কি নির্দেশ প্রদান করে? ইসলাম এ নির্দেশ দিয়েছে যে, তোমার দাস যদি প্রতিদিন সত্তরবার দোষ করে, তাহলে তুমি তাকে সত্তরবার ক্ষমা করে দাও। যদি এরচেয়ে বেশি ভুল করে, তাহলে কিছু শাস্তি দাও। বলুন, দাসদের সাথে এমন আচরণ কোনো অমুসলিম করে? গোলাম কেন? নিজের সন্তানের সাথে অনেকে এমন আচরণ করে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাসদের সাথে উত্তম আচরণের নির্দেশ হাদীসের জায়গায় জায়গায় প্রদান করেছেন। আবু জর রা. বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি-
عن المعرور بن سويد قال: رأيت أبا ذر – رضي الله عنه -، وعليه حلة وعلى غلامه مثلها، فسألته عن ذلك، فذكر أنه ساب رجلا على عهد رسول الله – صلى الله عليه وسلم – فعيره بأمه، فقال النبي – صلى الله عليه وسلم -: ্রإنك امرؤ فيك جاهلية هم إخوانكم وخولكم جعلهم الله تحت أيديكم، فمن كان أخوه تحت يده، فليطعمه مما يأكل، وليلبسه مما يلبس، ولا تكلفوهم ما يغلبهم، فإن كلفتموهم فأعينوهم

মারুর বিন সুওয়াইদ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা আবু জর রা. এর নিকট উপস্থিত হলাম, অতঃপর দেখা গেলো যে, তার গায়ে এবং তার গোলামের একই ধরনের চাদর। অতঃপর তিনি বললেন, হে আবু জর! আপনি যদি আপনার গোলামের চাদরটা আপনার চাদরের সাথে মিলিয়ে? ব্যবহার করতেন, তবে তা সুন্দর হতো; আর তাকে আপনি অন্য আরেকটি কাপড় পরিয়ে দিতেন? তখন তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিÑ
‘তারা তোমাদের ভাই, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন; সুতরাং আল্লাহ তায়ালা যার ভাইকে তার অধীন করে দিয়েছেন, সে যেনো তাকে তাই খাওয়ায় যা সে নিজে খায়। আর সে যেনো তাকে পোশাক হিসেবে তা-ই পরিধান করায়, যা সে নিজে পরিধান করে এবং যে বোঝা বহন করতে সে অক্ষম, সে যেন এমন বোঝা তার উপর চাপিয়ে না দেয়। তার পরেও যে বোঝা বহন করতে সে অক্ষম, এমন বোঝা যদি তার উপর চাপিয়ে দেয়, তবে সে যেন তাকে সহযোগিতা করে।’ বুখারি, হাদিস নং ৫৭০৩,
আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- ‘যে ব্যক্তি তার নির্দোষ গোলামকে অপবাদ দিবে, কিয়ামতের দিন তাকে অপবাদের শাস্তি স্বরূপ বেত্রাঘাত করা হবে; তবে সে যা বলেছে তা সঠিক হলে ভিন্ন কথা।’ বুখারি, হাদিস নং ৬৪৬৬,
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
إذا أتى أحدكم خادمه بطعامه، فإن لم يجلسه معه، فليناوله لقمة أو لقمتين أو أكلة أو أكلتين؛ فإنه ولي علاجه
অর্থাৎ তোমাদের কারো দাস যখন খাবার নিয়ে আসবে, তাকে যদি সাথে বসানো সম্ভব না হয়, তাহলে তাকে অন্তত এক দু লুকমা খাইয়ে দিবে। কারণ সে এ খাবার রান্না করতে আগুনের ধোয়া সহ্য করেছে। বুখারি, হাদিস নং ২৪২৮. মুসতাফা আবদুল কাদির আতা তাহকিককৃত।

এছাড়া বিভিন্ন হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাসদের স্বাধীন করে দেওয়ার প্রতি উৎসাহপ্রদান করেছেন। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
مَنْ أَعْتَقَ رَقَبَةً مُسْلِمَةً أعْتَقَ اللهُ بِكُلِّ عُضْوٍ مِنْها، عُضْوًا مِنْهُ في النَّارِ، حَتَّى فَرْجَهُ بِفَرْجِهِ
অর্থাৎ যদি কেউ কোনো মুসলমান দাসকে স্বাধীন করে, আল্লাহ তায়ালা তার প্রত্যেকটি অঙ্গের বিনিময় স্বাধীনকারী ব্যক্তির অঙ্গকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। এমনকি দাসের লজ্জাস্থানের বিনিময়ে তার লজ্জাস্থানকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন। বুখারি, হাদিস নং ২৪৭১

এছাড়া কুরআনে বিভিন্ন বিষয়ের কাফফারা স্বরুপ দাসকে স্বাধীন করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
* কোনো মুমিনকে ভুলবশত হত্যা করে ফেললে ।(সূরা নিসা ৪ঃ ৯২)* ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহর নামে কৃত শপথ ভঙ্গ করে ফেলা।
* যিহার এর কাফফারায়ও গোলাম স্বাধীনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
*  রোজার সময় ভুলবশত স্ত্রী মিলন করে ফেললে।

কিন্তু আফসোসের কথা হলো, এতটুকু দৃষ্টি রাখার পরও প্রাচ্যবিদদের চোখ কানা। চোখ, কান বন্ধ করে ইসলামের উপর দাস প্রথার আপত্তি করে থাকেন। আমি বলি যে, ইসলাম দাসদের সাথে এমন ব্যবহার করেছে , তারা নিজের বাবার তাদের সাথে এমন আচরণ করবে না।

কেন ইসলাম দাসপ্রথা বিলুপ্ত করেনি?

দাসপ্রথার মূলকথা হলো, এর দ্বারা মানুষের জীবন রক্ষা করা হয়। যখন কোন দুশমন মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসে, তখন শত্রু বাহিনী যুদ্ধে পরাজিত হলে তাদের হাজার হাজার মানুষ মুসলমানদের হাতে বন্ধি হবে। এবার আপনি আমাকে আপনি বলুন, যুদ্ধ বন্দিদের সাথে কি ব্যবহার করা হবে? হয়ত তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এটি স্পষ্ট বোকামী। ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হলো, হাজার হাজার দুশমনকে পূণরায় নিজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সুযোগ দেওয়া।

আরেকটি পদ্ধতি হলো, তাদের সবাইকে সাথে সাথে হত্যা করা হবে। যদি এমনটা করা হয়, তাহলে বিরোধিরা দাসপ্রথার চেয়ে বেশি চেঁচামেচি করার সুযোগ পাবে। তারা বলবে, কত অমানবীক নির্দেশ! ইসলাম কত বর্বর ধর্ম! শত্রæকে বন্দি করার সাথে সাথে হত্যা করে ফেলে।

আরেকটি পদ্ধতি হলো, তাদের সবাইকে জেলখানায় বন্দি করে রাখা হবে। সেখানে তাদেরকে খাবার এবং পরিধেয় পেশাক দেওয়া হবে। আজকের কিছু কিছু বাদশাহ এমনটা করে থাকেন। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু মন্দ দিক রয়েছে । প্রথমত পদ্ধতি গ্রহণ করলে রাষ্ট্রের উপর বড় ধরণের হুমকি আসে। কারণ তখন জেলখানার নিরাপত্তার জন্য অনেক সৈন্য লাগবে। বন্দীদের প্রয়োজনাদি পূরণের জন্য আরও লোক লাগবে। এ লোকগুলো বন্দিদের নিরাপত্তা রক্ষা ছাড়া রাষ্ট্রের অন্য কোনো কাজে ব্যবহার হবে না।

এছাড়া অভিজ্ঞতা দ্বারা এটা প্রমাণিত যে, জেলখানায় আপনি বন্দিদের যতই আরামে রাখুন, সেটা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী হবে না। কারণ স্বাধীনতা হারানোর কষ্ট মানুষের অন্তরে এতো পরিমাণ হয় যে, এত আপ্যায়ন তাদের কাছে বেকার মনে হবে। মধ্যখানে রাষ্ট্রের অনেক টাকা নষ্ট হলো। এছাড়া তাদের শত্রুতাও একটু কমবে না।

জেলখানায় থাকলে হাজার হাজার বন্দি সব ধরণের জ্ঞানার্জন এবং আমলের ময়দানের এগিয়ে যাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকে। এটা তাদের উপ এক প্রকারের অত্যাচার। এর পরিবর্তে ইসলাম নির্দেশ দিয়েছে যে, যত লোক বন্দি হবে, তাদেরকে সৈন্যদের মাঝে ভাগ করে দাও। একটি ঘরে একজন লোকের খরচ বহন করা কঠিন নয়। এর দ্বারা রাষ্ট্র অনেক বড় ধকল থেকে বেঁচে গেলো।
এছাড়া প্রত্যেক লোকের জন্য ইসলাম যেহেতু দাস থেকে কাজ আদায় করার অধিকার দিয়েছে, এজন্য সে তাকে খাবার এবং কাপড় দেওয়াকে নিজের জন্য বুঝা মনে করবে না। সে মনে করবে যে, বেতন নিয়ে নওকর রেখেছি। যখনই তার পিছনে খরচ করবে, তখনই তার থেকে কাজ আদায় করবে। এছাড়া দাসের যখন চলাফিরা এবং আনন্দে বাধা প্রদান করা হবে না, তখন সে জেলের মতো বন্দি থাকল না। ফলে সে তার মনিবের ব্যাপারে খারাপ ধারণাও করবে না। সে সময় যদি মনিব তার সাথে ভালো আচরণ করে, তাহলে অনুগ্রহে তার অন্তর ভরে উঠবে। তখন মনিবের ঘরকে নিজের ঘর মনে করবে। এটা শুধু গল্প নয়। বরং বাস্তবে এমন ঘটেছে যখন গোলাম এবং মনিবের মাঝে একতা হবে, তখন মনিব নিজে চাইবে যে, আমার দাস পরিপাঠি হোক। সে তাকে শিক্ষা দিবে। অনেক কিছু শিখাবে। ইসলামের ইতিহাসে বহু মনিষী এমন রয়েছেন, যারা মূলত দাস ছিলেন। দাস থেকেও জ্ঞানে বূৎপত্তি অর্জন করেছেন। এছাড়া কিছু দাসতো বাদশাহও হয়েছেন।

একটি ঘটনা উল্লেখ করি। একবার সুলতান মাহমুদ গজনবী হিন্দুস্তানে অভিযান পরিচালনা করেন। যুদ্ধে তিনি বিজয়লাভ করেন এবং অনেক হিন্দুকে বন্দি করলেন। যুদ্ধ বন্দিদের নিয়ে তিনি গজনি প্রত্যাবর্তন করলেন।
বন্দিদের মাছে একটি বালক খুব চালাক ছিল। সুলতান মাহমুদ তাকে স্বাধীন করে দিয়ে সব ধরণের জ্ঞান শিক্ষা দিলেন। যখন শিক্ষা শেষ হল, সুলতান তাকে রাষ্ট্রের কাজে লাগালেন। এক পর্যায়ে তিনি তাকে একটি এলাকার দায়িত্বে নিয়োজিত করলেন। যখন বাদশাহ তাকে এক এলাকার গভর্ণরের মুকুট পরাচ্ছিলেন, তখন সে দাসটি কান্না শুরু করল। সুলতান বললেল, তুমি খুশির সময় কাঁদছো কেন?

সে বললো, এ সময়ে আমার শৈশবের একটি ঘটনা মনে পড়ায় আমি কাঁদছি। বাদশাহ নামদার, যখন আমি হিন্দুস্থানে শিশু ছিলাম; হিন্দু মহিলারা আপনার নাম বলে তাদের বাচ্চাদেরকে ভয় দেখাতো। আমার মাও আমাকে আপনার নাম বলে ভয় দেখিয়েছে। আমি তখন ধারণা করতাম যে, অজ্ঞাত মাহমুদ কত অত্যাচারী!

এরপর আপনি আমার দেশে হামলা করলেন। হিন্দু বাহিনীর সাথে যুদ্ধ হলো, যে বাহিনীতে আমিও ছিলাম। সে সময় পর্যন্ত আমি আপনাকে ভয় করতাম। এরপর আমি আপনার হাতে বন্দি হলাম। আপনি আমার সাথে ভালো আচরণ করলেন। আজ আপনি আমার মাথায় মুকুট পরাচ্ছেন। এ সময় আমি এজন্য কাঁদছি যে, আজকে যদি আমার মা জীবিত থাকতেন, তাহলে আমি বলতাম ‘মা!এই সেই মাহমুদ, যাকে আপনি ভূত বলেছেন!’
এমন ঘটনা ইসলামে বহু রয়েছে। যদি এ সমস্ত লোকদের জেলে বন্দি করে রাখা হতো, তাহলে মুসলমানদের সাথে তাদের সম্পর্ক হতো না। দাস হওয়ার কারণে তারা মুসলমানদের সাথে মিশেছে। জ্ঞান অর্জন করে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন পদ লাভ করেছে। কেউ হয়েছেন মুহাদ্দিস। কেউ হয়েছেন ফকিহ। কেউ কারী। কেউ মুফাসসির, নাহুবিদ, বিচারক।
এছাড়া রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাসদের প্রতি দৃষ্টি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন মৃত্যুর সময়ও তিনি দাসদের প্রতি ভালো ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে গেছেন। এরচেয়ে বেশি আর কি দৃষ্টি রাখবে? আর সমস্ত সাহাবা এবং তাবেয়িন এবং মুসলিম শাসকরা দাসদের সাথে এমন আচরণ করেছেন। যদি এক দুইজন এর বিপরীত আমল করে থাকে, তাহলে এর জন্য ইসলামের উপর প্রশ্ন তুলা যাবে না।

জিহাদ ইসলামের একটি চিরন্তর বিধান। কুফরি শক্তির সাথে কিয়ামত পর্যন্ত ইসলামের জিহাদ চলবে। সুতরাং যুদ্ধে শত্রæরা মুসলমানদের হাতে বন্দি হবেই। এখন সাথে সাথে বন্দিদের হত্যা করা নিশ্চয় অমানবীক কাজ। আবার তাদের সকলকে মুক্তি দেওয়াও হাস্যকর! সাথে সাথে তাদেরকে মুক্তি দেওয়ার অর্থ হলো, নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা। এজন্য ইসলাম দাসপ্রথা রহিত করে নি। কিন্তু দাসদের মুক্তির ব্যাপারে কুরআন, হাদীসের জায়গায় জায়গায় মুসলমানদের উৎসাহপ্রদান করা হয়েছে। তাদের সাথে উত্তম আচরণের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এরপরও প্রাচ্যবিদরা দাসপ্রথার অহেতুক অভিযোগ তুলে ইসলামের ব্যাপারে মানুষের অন্তরে সন্দেহ তৈরীর চেষ্টা করেছেন। বর্তমানে নাস্তিকরাও কটাক্ষ করে বিষয়টি উপস্থাপন করে থাকে! আসলে যে ব্যক্তি ঘুমের ভান করে থাকে, তাকে ঘুম থেকে জাগানো কঠিন! আল্লাহ সকলকে হেদায়াত দান করুন।

 

Check Also

সদকায়ে ফিতর টাকা দ্বারা আদায় করার দলিল নেই?

শায়খ কাজি ইবরাহিম সাহেবের ফতোয়া দেখলাম। তার বক্তব্য অনুসারে টাকা দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায়ের কথা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *