ইসলাম বিদ্বেষীদের ওয়েবসাইটে প্রায়ই এই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করা হয় যেখানে তারা দাবি করে যে, ইসলাম অনুযায়ী নারীরা কম বুদ্ধির অধিকারী বা নারী হয়ে জন্মানোর অর্থ হল স্বল্প বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়া।
মানুষের মধ্যে বোধশক্তির মূলে হচ্ছে মগজ, এরই স্বল্পতা ও প্রাচুর্য এবং শক্তি ও দুর্বলতার ওপর বোধশক্তির প্রখরতা ও মন্থরতা নির্ভরশীল। কিন্তু মনস্তত্ত¡ বিজ্ঞানের বাস্তব পরীক্ষা-নিরীক্ষাসমূহের পরিপ্রেক্ষিতে চিন্তা করে দেখলে এ ক্ষেত্রেও নারী একান্ত দুর্বল বলে প্রতিপন্ন হয়। মনস্তত্ত¡ বিজ্ঞান প্রমাণ করে দিয়েছে যে, নারীর মগজ ও পুরুষের মগজের মধ্যে ধাতুগত ও আকৃতিগত গুরুতর বেমিল রয়েছে।
}فَإِنْ لَّمْ يَكُوْنَا رَجُلَيْنِ فَرَجُلٌ وَّامْرَأَتَانِ{
আল্লাহ তা‘আলার বাণী যদি দুজন পুরুষ না থাকে তবে একজন পুরুষ ও দুজন স্ত্রীলোক (সাক্ষী হিসেবে নিয়োগ কর)। (সূরা আল-বাকারাহঃ ২৮২)
হাদিসে বলা হয়েছে-
مَا رَأَيْتُ مِنْ نَاقِصَاتِ عَقْلٍ وَدِينٍ أَذْهَبَ لِلُبِّ الرَّجُلِ الْحَازِمِ مِنْ إِحْدَاكُنَّ ”. قُلْنَ وَمَا نُقْصَانُ دِينِنَا وَعَقْلِنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” أَلَيْسَ شَهَادَةُ الْمَرْأَةِ مِثْلَ نِصْفِ شَهَادَةِ الرَّجُلِ ”. قُلْنَ بَلَى. قَالَ ” فَذَلِكَ مِنْ نُقْصَانِ عَقْلِهَا، أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ ”. قُلْنَ بَلَى. قَالَ ” فَذَلِكَ مِنْ نُقْصَانِ دِينِهَا ”.
বুদ্ধি ও দ্বীনের ব্যাপারে ত্রুটি থাকা সত্তে¡ও একজন সদাসতর্ক ব্যক্তির বুদ্ধি হরণে তোমাদের চেয়ে পারদর্শী আমি আর কাউকে দেখিনি।
তারা বললেন- হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাদের দ্বীন ও বুদ্ধির ত্রুটি কোথায়? তিনি বললেন- একজন মহিলার সাক্ষ্য কি একজন পুরুষের সাক্ষ্যের অর্ধেক নয়? তারা উত্তর দিলেন- হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন- এ হচ্ছে তাদের বুদ্ধির ত্রুটি। আর হায়েয অবস্থায় তারা কি সালাত ও সিয়াম হতে বিরত থাকে না? তারা বললেন- হ্যাঁ। তিনি বললেন- এটা হচ্ছে তাদের দ্বীনের ত্রুটি।
(মুসলিম:১১৩)
নারীদেরকে কমবুদ্ধিমান কেন বলা হয়েছে তার ব্যাখ্যা উক্ত হাদিসেই বর্ণনা করা হয়েছে।
মানুষের মধ্যে বোধশক্তির মূলে হচ্ছে মগজ, এরই স্বল্পতা ও প্রাচুর্য এবং শক্তি ও দুর্বলতার ওপর বোধশক্তির প্রখরতা ও মন্থরতা নির্ভরশীল। কিন্তু মনস্তত্ত¡ বিজ্ঞানের বাস্তব পরীক্ষা-নিরীক্ষাসমূহের পরিপ্রেক্ষিতে চিন্তা করে দেখলে এ ক্ষেত্রেও নারী একান্ত দুর্বল বলে প্রতিপন্ন হয়। মনস্তত্ত¡ বিজ্ঞান প্রমাণ করে দিয়েছে যে, নারীর মগজ ও পুরুষের মগজের মধ্যে ধাতুগত ও আকৃতিগত গুরুতর বেমিল রয়েছে। দেশের অধিকাংশ লোকই জানে নারীদের তুলনায় পুরুষের বুদ্ধি বেশি। কেননা পুরুষের মস্তিষ্কের আকার নারীদের থেকে ১০ শতাংশ বড়।
গবেষণাধর্মী এমআরআই স্ক্যান করে দেখা গেছে, ব্রেনের কিছু কিছু অংশ লিঙ্গবিভেদে সাইজে বড় হয়ে থাকে। যেমন- মানবদেহের কানের ওপরে মস্তিষ্কের মধ্যে আখরোটের মতো একটি ছোট একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আছে। একে বলে অ্যামিগডালা। মজার ব্যাপার হল, ছেলেদের এই অংশটি মেয়েদের চেয়ে অনেকটা বড়।
পুরুষদের মস্তিষ্ক অনেক কাজ মেয়েদের চেয়ে বেশি দক্ষ। উদাহরণ হিসেবে গাণিতিক সংখ্যাতত্ত¡, স্থাপত্যবিদ্যা, ক্রীড়াবিদ্যা এবং মাপজোকের কাজের কথা বলা যায়।
(একুশে জার্নাল অনলাইন: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)
এ ছাড়াও নারীর মাথার মগজে বক্রতা ও প্যাচ অনেক কম এবং তার আবরণগুলোর ব্যবস্থাপনাও অসম্পূর্ণ। মনস্তত্ত¡ বিজ্ঞানীরা এই পার্থক্যটিকে উভয় শ্রেণীর সাতন্ত্রের পরিচায়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে নির্দিষ্ট করেছেন । ঠিক এমনি নারী ও পুরুষের মগজের ¯œায়ুমণিতেও বিরাট পার্থক্য দেখা যায়।
¯œায়ুমণি হলো বোধক্তির মূলকেন্দ্র; কাজেই এই পার্থক্যটি কোন মামুলী পার্থক্য নয়।
বাস্তবতার দিকে লক্ষ্য রাখলে দেখা যায়- নারীদের থেকে পুরুষেরা সব কাজে পারদর্শী এবং জ্ঞানসম্পন্ন হয়ে থাকেন। একথা সকলে অকপটে মেনে নেন যে, একজন নারীর সৃষ্টিগত জ্ঞানের চেয়ে পুরুষের জ্ঞান অনেক বেশি। পুরুষের চিন্তাধারা যতটা নিখুঁত হয়, একজন মহিলার চিন্তাধারা ততটুকু নিখুঁত হয় না।
পুরুষ ও নারীর মনস্তত্ত¡, প্রকৃতি, মানসিক অবস্থা ইত্যাদির মাঝে পার্থক্য রয়েছে, স্ত্রী হরমোন যেমন ইস্ট্রোজেনের প্রভাবে নারীরা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ হন পুরুষদের তুলনায়।তাই নারীদের মাঝে বিবেকের চাইতে আবেগ বেশি কাজ করে থাকে, তাই তারা কখনো কখনো লজিক্যালি ভাবার পরিবর্তে ইমোশনালি ভাবে। তাদের মাঝে আকলের চাইতে দয়ার্দ্রতা ও কোমলতা বেশি প্রাধান্য পেয়ে যায়। কখনো কখনো তা আকলের যথার্থ কার্যকারিতাকে কমিয়ে দেয়। একইভাবে কখনো কখনো তারা অতি সহজে গলে যায় কিংবা কথায় প্রভাবিত হয়ে আকলের ওপর নারীপ্রকৃতি বিজয়ী হয়।
এসব কারণে মূলত নারীদেরকে নাকিসুল আকল বলা হয়েছে। নাকিসুল আকল অর্থাৎ কম বুদ্ধি না বরং বুদ্ধির ত্রুটিও বোঝায়। সুতরাং পুরুষের চেয়ে মহিলার আকলের ত্রুটির পরিমাণ বেশী হওয়ার ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিমত নেই।