রোজা রেখে রক্ত দেয়া
রোজা রেখে রক্ত দিলে রোজা নষ্ট হয় না। তবে এতটুকু রক্ত মাকরুহ যতটুকু দিলে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং রোজা রাখা কষ্টকর হয়ে যায়।
عن ثابت البنانى قال: سئل أنس بن مالك أكنتم تكرهون الحجامة للصائم؟ قال: لا، إلا من أجل الضعف
সাবেত আলবুনানী রাহ. বলেন, আনাস রা. কে জিজ্ঞাসা করা হল রোজা অবস্থায় শিঙ্গা লাগানোকে আপনারা কি মাকরূহ মনে করতেন? তিনি বলেন, ‘না। তবে এ কারণে দুর্বল হয়ে পড়লে তা মাকরূহ হবে।’-সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯৪০।
ইনজেকশন ও ইনস্যুলিন গ্রহণ
ইনজেকশন,ভ্যাকসিন,ইনস্যুলিন ও স্যালাইন নিলে রোজা ভাঙবে না। আলাতে জাদিদা কি শরয়ী আহকাম পৃষ্ঠা ১৫৩ ইবনে আবিদিন -৩/ ৩৬৭।
ইনহেলার ব্যবহার
সালবিউটামল ও ইনহেলার ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। শ্বাসকষ্ট দূর করার জন্য ওষুধটি মুখের ভেতরভাগে স্প্রে করা হয়। স্বভাবত ইনহেলার এ ঔষধ মিশ্রণ থাকে। ফলে ঔষধ ভিতরে চলে যাওয়ার কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। তবে মুখে স্প্রে করার পর না গিলে যদি থুতু দিয়ে ফেলে দেয়, তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না। ফতোয়া শামী: ২/৩৯৫।
অক্সিজেন নেয়া
রোজা অবস্থায় ব্যবহৃত অক্সিজেনে যদি ঔষধ থাকে, তাহলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। তবে অক্সিজেন যদি এমন হয় যে, শুধু বাতাস ভিতরে যায়, ঔষধের মিশ্রন নেই, তাহলে রোজা নষ্ট হবে না।। ফাতহুল বারি: ৪/২০৭, জাদিদ ফেকহি; মাসায়েল-১/১৮৮।
টুথপেস্ট বা পাউডার ব্যবহার করা
রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট বা মাজন দিয়ে দাঁত মাজা মাকরুহ। কারণ, এর দ্বারা এর স্বাদ সাধারণত অনুভূত হয়। যদি পেস্ট বা মাজন গলায় বা পেটের ভেতর চলে যায়, তাহলে তো রোজা নষ্টই হয়ে যাবে। রদ্দুল মুহতার: ২/৪১৫-৪১৬; ফাতাওয়া খানিয়া: ১/২০৪।
এনজিওগ্রাম
এনজিওগ্রাম সাধারণত করা হয় হার্ট ব্লক হয়ে গেলে। উরুর গোড়া কেটে বিশেষ রগের ভেতর দিয়ে হার্ট পর্যন্ত যে ক্যাথেটার ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা হয় তার নাম এনজিওগ্রাম। এ যন্ত্রটিতে যদি কোনো ধরণের ঔষধ লাগানো থাকে তারপরও রোজা নষ্ট হবে না। আল-মালাকাতুল ফিকহিয়া-১/১২৪.