দলিলের আলোকে কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত। কারণ, সুন্নাহ ইবাদাতের কাযা করতে হয় না। কাজা হয় ওয়াজিব ইবাদাতের। কুরবানির ক্ষেত্রে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
مَنْ ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ فَلْيَذْبَحْ أُخْرَى مَكَانَهَا وَمَنْ لَمْ يَذْبَحْ فَلْيَذْبَحْ بِاسْمِ اللَّهِ
অর্থাৎ তোমাদের কেউ যদি ঈদের নামাজের আগে পশু জবেহ করে ফেলে, সে যেন আরেকটি পশু কুরবানি করে। -বুখারি: ৯৮৫।
এ হাদিস থেকে কুরবানি ওয়াজিব স্পষ্ট প্রমাণিত হয়। কারণ ওয়াজিব না হলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরেকটি পশু কুরবানির কথা বলতেন না।
আজজের পর্বে আমরা শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহি. এর বক্তব্য পেশ করব। কারণ, আমাদের দেশে অনেকে শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহি. কে ফলো করেন। কুরবানির বিধান নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন:
وأما الأضحية فالأظهر وجوبها أيضا فانها من أعظم شعائر الاسلام وهى النسك العام فى جميع الأمصار والنسك مقرون بالصلاة فى قوله ان صلاتى ونسكي ومحياي ومماتى لله رب العالمين وقد قال تعالى فصل لربك وانحر فأمر بالنحر كما أمر بالصلاة
অর্থাৎ কুরবানির ক্ষেত্রে স্পষ্ট মত হলো, কুরবানি ওয়াজিব। কারণ, এটি ইসলামের অন্যতম মহান বিধান। আল্লাহ অধিকাংশ ক্ষেত্রে নামাজের সাথে কুরবানিকে যুক্ত করেছে। আল্লাহ বলেন: “আমার নামাজ, কুরবানি, জীবন এবং মরণ সব আল্লাহর জন্য “ অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন: “আপনি নামাজ পড়ুন এবং কুরবানি করুন।” এখানে আল্লাহ তাআলা যেমনভাবে নামাজের নির্দেশ দিয়েছেন, তেমনভাবে কুরবানির নির্দেশ দিয়েছেন। (মাজমুউল ফতোয়া: ২৩/১৬২)
সুতরাং যারা নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবো, অবশ্যই আমরা আমাদের ওয়াজিব কুরবানি করব ইনশাআল্লাহ।