ভেদে মারেফত; একটি পর্যালোচনা

উপমহাদেশে কবরপূঁজা এবং বিদআতের আবিষ্কারক মরহুম আহমদ রেজা খানের ‘হুসসামুল হারামাইন’ দিয়ে কথা শুরু করি। এ গ্রন্থে তিনি কাসিম নানুতবি রাহ., আশরাফ আলি থানবি রাহ., রশিদ আহমদ গাংগুহি রাহ. এবং খলিল আহমদ সাহারানপুরি রাহি.-কে কাফির ফতোয়া দিয়েছিলেন। তাঁদের গ্রন্থের বিভিন্ন বক্তব্য কাটছাট করে তিনি সৌদি আরব থেকে ফতোয়া সংগ্রহ করেছিলেন যে, এরা কাফির!
ড. আল্লামা খালিদ মাহমুদ সাহেব ‘মুতালায়ায়ে বেরলভিয়্যাত’ নামক অমর গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে আহমদ রেজা খানের জালিয়াত ও মিথ্যাচার নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন আহমদ রেজা খান আকাবিরে দেওবন্দের বিভিন্ন ইবারতের আগপিছ বাদ দিয়ে খ- বক্তব্য দিয়ে তাদের কাফির বানিয়েছেন! কিছুদিন আগে ‘আল্লাহর আন্দাজ নেই’ নামে চরমোনাইয়ের আকিদা-বিষয়ক কিছু কথা লিখেছিলাম। আমি লিখেছি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান অনুসারে। কারণ, কুফরের মাসআলা দিতে গিয়ে অনেক সতর্কতা কাম্য। জালিয়াতি করার তো প্রশ্নই আসে না।
তাহকিকের জন্য প্রথম শর্ত হলো, কারও হাওয়ালায় বিশ্বাস না করা; বরং নিজে মুরাজাআত করে দেখা। মাওলানা মাহদি হাসান শাহজাহানপুরি রাহ.-এর কাছে একজন তালিবুল ইলম এসে বলেছিল, ‘হুজুর, আমাকে একটু নসিহত করুন।’ তিনি তাকে বলেছিলেন, ‘কখনো কারও হাওয়ালায় বিশ্বাস করবে না; বরং নিজে কিতাব খুলে দেখবে।’ আমি সব ক্ষেত্রে এ নসিহতের উপর আমল করার চেষ্টা করি।
ভেদে মারেফত নিয়ে যারাই আপত্তি তুলেন তাদের প্রদত্ত কিছু হাওয়ালা মিলিয়ে দেখলাম। হাওয়ালায় বেশ কিছু অসংগতি এবং কাটছাট চোখে পড়ল। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এ কাজ করলে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আর অনিচ্ছাকৃতভাবে অন্য কারও পোস্ট থেকে কপি করলে দুআা করি আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিন।
তারা চরমোনাইয়ের কুফরি আকিদা উল্লেখ করতে গিয়ে প্রথমে লিখেছেন, ‘মারেফতের পীর ও ওলীদের মর্যাদা নবীদের চেয়েও বেশি। আ…. মা… ৮৮, ৯০’
মূলত তিনি ‘আশেক মাশুক’ বইয়ের ৮৮ থেকে ৯০ পৃষ্ঠা, অথবা ৮৮ এবং ৯০ পৃষ্ঠার হাওয়ালা দিয়েছেন। আমার কাছে থাকা মাহমুদ পাবলিকেশন্সের ‘আশেক মাশুক’ বইয়ের এ তিন পৃষ্ঠায় এ ধরণের কোনো কথা নেই। এখানে আলোচনা করা হয়েছে আল্লাহর ইশক এবং দর্শন নিয়ে। আশা করি মুহতারাম কোন প্রকাশনীর বই থেকে হাওয়ালা দিয়েছেন সেটা একটু জানাবেন।
দ্বিতীয় কুফরি আকিদা হিসেবে অনেকে উল্লেখ করেছেন, ‘আখেরাতে পীরগণ মুরিদের জন্য সুপারিশ করিবে। ভে. মা. ৬০।’
এর দ্বারা মূলত তিনি ‘ভেদে মারেফত’ বুঝিয়েছেন। এবার দেখা দরকার যে, সেখানে কী লেখা আছে।  সেখানে বলা হয়েছে, ‘বন্ধুগণ! স্মরণ রাখিবেন পীর হইলেন আখেরাতে উকিলস্বরূপ। অতএব, যে ওকিলের সনদ নেই (সনদ দ্বারা উদ্দেশ্য খেলাফত) তিনি অপরের সুপারিশ করিবেন কীভাবে? সুতরাং এরূপ সনদহীন দাগাবাজ পীরের খপ্পড়ে না পড়িয়া সনদপ্রাপ্ত কামিল পীর ধরিতে হইবে।’
জানি না এ আলোচনায় মুহতারাম শিরক এবং কুফরের কী খুঁজে পেলেন?
কিয়ামতের দিন আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দারা সুপারিশ করার কথা তো অসংখ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এখানে কামেল পীর ধরার কথা বলা হয়েছে। এ ধরণের কথা তো হাকিমুল উম্মাত আশরাফ আলি থানবি রাহ. একাধিক জায়গায় বলেছেন। এখানে কেউ আকিদা বর্ণনা করতে গিয়ে নিজের মতো মর্মার্থ বুঝে সেটার উপর কুফরের ফতোয়া লাগিয়ে দিয়েছেন! আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
আরেকটি কুফরি আকিদা বর্ণনা করতে গিয়ে অনেকে লিখেছেন, ‘পীর কিয়ামতের দিন সকল মুরিদের গুনাহ মাফ করিয়ে দিবেন। ভে. মারেফত, ৩৪।’
দেখুন ৩৪ নম্বর পৃষ্ঠায় কী বলা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে,
‘পীর সাহেব শুধুমাত্র ওসিলা মাত্র। বান্দা অসংখ্য গুনাহ করার ফলে আল্লাহ পাক তাহাকে কবুল করিতে চান না। পীর সাহেব আল্লাহ পাকের দরবারে অনুনয় বিনয় করিয়া ঐ বান্দার জন্য দোয়া করিবেন, যাহাতে তিনি কবুল করিয়া নেন। ঐ দোয়ার বরকতে আল্লাহ পাক তাহাকে কবুল করিয়া নিবেন বলিয়া আশা করা যায়।’
এখানে এসে অনেকের মধ্যে এবং আহমদ রেজা খানের মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য খুঁজে পাই না। উভয়জনই মিথ্যাচার এবং জালিয়াতি করেছেন। ‘পীর কিয়ামতের দিন সকল মুরিদের গুনাহ মাফ করিয়া দিবেন’ এমন কথা এখানে নেই। দুআ-সংক্রান্ত ইবারতকে তিনি নিজের মত রঙ লাগিয়ে কুফরির ফতোয়া লাগিয়ে দিয়েছেন!
প্রিয় ভাই! কুফরির ফতোয়ায় এরকম কাজ করলে উম্মাহ যাবে কোথায়?
আরেকটি আকিদায় তারা লিখেছেন, ‘মৃত্যুর সময় পীর স্বীয় মুরীদকে শয়তান থেকে বাঁচাতে পারেন। ভে. মা..৩১।’
আমার মনে হয় তারা একটি হাওয়ালাও মূল বই খুলে দেখেননি। নচেৎ এ ধরণের ভুল হতো না। এখানে মূলত ফখরুদ্দিন রাজি রাহ.-এর নামে বিখ্যাত জাল ঘটনাটি উল্লেখ করা হয়েছে। মৃত্যুর সময় শয়তান তার কাছে উপস্থিত হয়ে আল্লাহ এক হওয়ার দলিল নিয়ে বিতর্ক আরম্ভ করেছিল। তিনি একপর্যায়ে দলিল দিতে অক্ষম হয়ে যান। তখন হঠাত দেখতে পান তার পীর এসে বলছেন, ‘বলুন দলিল ছাড়া আল্লাহ এক।’ এরপর এখানে বলা হয়েছে, ‘শয়তান এই কথা শুনিয়া এই বলিয়া চলিয়া গেল, তোমার ভাগ্য ভালো যে, একদিন কামেল পীরের কাছে দোয়া নিয়াছিলা। নচেৎ তোমাকে বেঈমান করিয়া আমার সঙ্গে জাহান্নামে নিয়া যাইতাম। আল্লাহ পাকের রহমতে ইমাম সাহেব পীরের দোয়ার বরকতে কালেমা তায়্যিবা পড়িয়া ইহজগৎ ত্যাগ করিয়া চলিয়া গেলেন। প্রিয় মোমেনগণ! এখন চিন্তা করে দেখুন যে, পীরে কামেল ছাড়া ঈমান নিয়া যাওয়া কতটুকু সম্ভব!’
যারা এসব তাকফির করেন তাদের বিবেকের উপর বিষয়টি ছেড়ে দিলাম। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের  কারো কাছ থেকে আমরা অন্তত ইনসাফ আশা করতে পারি।
এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক আলোচনা করেছেন আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী হাফিজাহুল্লাহর সন্তান মাওলানা কামরুল ইসলাম ওলিপুরী। তিনি ‘চরমনোইকে’ তাকফির পর্যন্ত করে ফেলেছেন। আমরা তাকে বলতে চাই আমরা তো আপনার মুহতারাম আব্বাজান দা. বা.-এর বক্তব্যে ফখরুদ্দিন রাজি রাহ.-এর ঘটনাটি একাধিকবার শুনেছি। কিন্তু কেউ তো কখনো কুফরি বা শিরক ফতোয়া দেয়নি। এখানে পীর মুরিদকে শয়তান থেকে বাঁচানোর কথা আপনি কোথায় পেলেন? বলা হয়েছে, ‘পীরের দোয়ার বরকতে কালেমা তায়্যিবা পড়িয়া মৃত্যুবরণ করেছেন।’ একজন আল্লাহর ওলির দুআর বরকতে কি কারও কালিমা নসিব হতে পারে না। যদি না করেন, তাহলে আপনার সাথে কথা বলার প্রয়োজন মনে করি না। তিনি তার লেখায় আরো অনেক বিষয় এনেছেন যে বিষয়গুলো নিয়ে পর্যালোচনা কেরতে চাই।
আরেকটি কুফরি আকিদা হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘পরকালে পীর ও ওলীদের ক্ষমতার সীমা থাকিবে না। আ… মা… ৮১।’
আমাদের কাছে থাকা নুসখার ৮২ নম্বর পৃষ্ঠায় এ ধরণের কোনো কথার নামগন্ধও নেই। আশেপাশের কয়েক পৃষ্ঠাও পড়ে এ ধরণের কথা পাইনি। জানি না তাদের কাছে কোন নুসখা রয়েছে। আশা করি তারা সে নুসখার ছবি দিয়ে আমাদের বাধিত করবেন।
আরেকটি শিরকি আকিদা হিসেবে তিনি লিখেছেন, ‘পীর কাফন চুরকে হাত ধরিয়া পুলসিরাত পার করিয়া দিবেন। ভে..মা…. ২৭-২৮।’ মূলত ২৭ এবং ২৮ নম্বর পৃষ্ঠায় একটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে থানবি রাহ.-এর হাওয়ালায় একটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনাটি মূলত একটি স্বপ্ন। এক পর্যায়ে বলা হয়েছে, ‘দরবেশ সাহেব ওই রাত্রে তাহার এক খলিফাকে স্বপ্নযোগে বলিলেন যে, আমার কবরে শায়িত চোরকে গোসল দিয়া আমার পার্শে দাফন করিয়া দাও। স্বপ্নের ভিতরে খলিফা সাহেব জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি টাকা দেওয়া সত্ত্বেও যখন চুর এ কাজ করেছে, তখন তাহাকে এ এত সম্মান করার আবশ্যক কি? দরবেশ সাহেব বলিলেন, বাবা! আমার বড় চিন্তা হইল যে কাফন চোরের হাত আমার হাতের সঙ্গে লাগিয়াছে, এখন কিয়ামতের দিন ওকে ছাড়িয়া আমি কেমনে পুলসেরাত পার হইয়া যাইব?
ওগো প্রাণের বন্ধুগণ! আল্লাহর ওলীর হাতের সঙ্গে হাত লাগানোর কারণে যদি একটি চোরের মুক্তি হওয়ার আশা করা যায়, তবে হক্কানী পীরের কাছে মুরীদ হইলে আপনাদের জন্য কতদূর ফায়দা হইতে পারে, তাহা চিন্তা করিয়া দেখুন।’
দেখুন কামরুল ভাই, কোথাকার বক্তব্যকে কোথায় নিয়ে গেছেন? একটি স্বপ্নকে তিনি আকিদা বানিয়ে নিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, এ স্বপ্নে শিরকি কোনো কথা নেই। শেষে স্পষ্ট ব্যাখ্যা করে দেওয়া হয়েছে যে, ‘মুক্তির আশা করা যায়।’ তারপরও কামরুল ভাই নিজের মতো ইবারত বানিয়ে কুফরির ফতোয়া লাগিয়ে দিলেন! আল্লাহ এমন কাজ করা থেকে আমৃত্যু আমাদের হেফাজত করুন।
আরেকটি শিরকি আকিদা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘শরীয়ত বহির্ভূত হলেও পীরের হুকুম মানা মুরীদের জন্য বাধ্যতামূলক। আ… মা… ৩৫।’
এখানে কামরুল ভাই ইনসাফ বজায় রাখতে পারেননি। পুরো আলোচনা দেখুন, ‘পীর সাহেবের মত হামেশা জেকের আজকার ও কোরআন শরীফ তেলাওয়াত প্রভৃতি নেক কাজে মশগুল থাকিবেন এবং পীর সাহেব কিবলা যখন যে আদেশ করিবেন তাহাতে কোন প্রকার কিলোকাল না করিয়া নিরাপত্তিতে তাহা করিয়তে তাকিবেন। হাফেজ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ফরমাইয়াছেন,(ফার্সি কবিতা) অনুবাদ হল, কামেল পীরের আদেশ পাইলে নাপাক শারাব দ্বারাও জায়নামাজ রঙ্গিন করিয়া তাহাতে নামাজ পড়া। অর্থাৎ শরিয়ত শরীয়তে কামেল পীর সাহেব যদি এমন কোন হুকুম দেন, যাহা প্রকাশ্যে শরীয়তের খেলাফ হয়, তবুও তুমি তাহা নিরাপত্তিতে আদায় করবে।’
এটা মূলত হাফিজ জালাল উদ্দিন রুমি রাহ.-এর কবিতা। কুফরি ফতোয়া দিলে আগে তাকে দিতে হবে। এখানে তিনি কবিতা উল্লেখ করলে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভুল করেছেন। এ ধরণের ভুল শুধু তিনি করেছেন এমন নয়। অনেকেই করেছেন আগে। দেখুন এ কবিতা আশরাফ আলি থানবি রাহ.-ও ‘খুতুবাতে হাকিমুল উম্মাত’ ৪/১০৭ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন। তাহলে থানবি রাহ.-এর বিরুদ্ধে কুফরির ফতোয়া লাগাতে পারেন! বাহ্যিকভাবে হাফিজের কথা শরিয়তবিরোধী মনে হলেও থানবি রাহ. এটার ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, ‘হাফেজের কথায় এ ধরণের ইঙ্গিতসূচক অনেক কথা আছে। তার আরেকটি কবিতা আমার মনে পড়ছে। এ কবিতার উদ্দেশ্যও অনেকে বুঝতে পারে না। কারণ, তারা সুক্ষ্ম পরিভাষা বুঝতে না পেরে অহেতুক আপত্তি করে বসে। তার এক কবিতা থেকে কেউ কেউ বুঝতে পারে যে, পীর যদি জায়নামাজ শরাব দিয়ে রঙিন করতে বলে, তাহলে মুরিদেরও তা-ই করা উচিত। এটা সম্পূর্ণ ভুল। পরিভাষা না বুঝলে আপনি তার কবিতা পড়ে বিভ্রান্ত হয়ে যেতে পারেন। এখানে মসজিদ দ্বারা উদ্দেশ্য হল তাসাওউফের পদ্ধতি। আর পায়খানা দ্বারা তিনি জজবা বুঝিয়েছেন। আরেকটি কথা বুঝতে হবে, কখনো কখনো পরিপূর্ণ লোকের উপরও জজবা প্রাধান্য পেয়ে যায়।
তৃতীয়ত, শায়খের উপর যখন জজবার হালত প্রাধান্য পেয়ে যাবে, তখন তিনি অন্য কারও উপকার করতে পারবেন না। এবার মূল কথা শুনুন। আমাদের শায়খ কিছুদিনের জন্য জজবার হালতে থাকলে আমরা কী করব? তিনি উত্তর দিয়েছেন, সে সময়ও তোমরা শায়খের সাথে থাকতে হবে। কারণ, যাকে তুমি শায়খ বানিয়েছ এবং তোমার তবিয়ত তাকে শায়খ হিসেবে মেনে নিয়েছে, তাকে ছাড়া অন্য কারও কাছে গেলে দেখা যাবে তোমার তেমন উপকার হবে না। আর মনে রাখতে হবে, পরিপূর্ণ লোকের জজবার হালত বেশি সময় থাকে না। এ জন্য ইলম অর্জন পরের নিজের সংশোধনের জন্য আপনাকে কোন পরিপূর্ণ শায়খের সান্নিধ্যে যেতে হবে।’ (খুতুবাতে হাকিমুল উম্মাত, ৪/ ১০৭, আশরাফি বুক ডিপো, দেওবন্দ)
কামরুল ভাই আল্লাহর আন্দাজ না থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে পূর্বে কিছু কথা পেশ করার কারণে আপাতত কিছু বলছি না। আরও দুয়েকটা আকিদা তিনি উল্লেখ করেছেন। সামনে সময় পেলে সেগুলো নিয়ে লিখব ইনশাআল্লাহ। কামরুল ভাই! আপনি একজন সম্ভাবনাময় তরুণ। আশা করি কুফর এবং শিরক ফতোয়ার ক্ষেত্রে আপনি আরেকটু সতর্ক হবেন। এভাবে বক্তব্য কাটছাট করে তো বেদআতিরা আপনার মুহতারাম পিতা আল্লামা ওলিপুরীকে কাফির বানিয়ে রেখেছে! আপনাকে অনুরোধ করব, কারও বই থেকে হাওয়ালা নকল করলে সে বই একটু কষ্ট করে খুলে দেখবেন। তাহলে আল্লাহ আপনাকে বিভ্রান্তি থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন।

Check Also

সদকায়ে ফিতর টাকা দ্বারা আদায় করার দলিল নেই?

শায়খ কাজি ইবরাহিম সাহেবের ফতোয়া দেখলাম। তার বক্তব্য অনুসারে টাকা দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায়ের কথা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *