বুকের উপর হাত বাধা সংক্রান্ত হাদীসের পর্যালোচনা

বুকের উপর হাত বাধা সংক্রান্ত হাদীসের পর্যালোচনা

রেজাউল কারীম আবরার
আমরা আগে আলোচনা করে এসেছি যে, সাহাবায়ে কেরামের মাঝে বুকের উপর হাত বাধার কোন মত ছিল না। এমনকি কোন সাহাবা নামাজে বুকের উপর হাত বাধেন নি। যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুকের উপর হাত বাধতেন, তাহলে অবশ্যই সাহাবায়ে কেরাম বুকের উপর হাত বাধতেন। কারণ, তারা সরাসরি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নামাজ পড়তে দেখেছেন।

মজার কথা হলো, যে আমল কোন সাহাবা থেকে প্রমাণিত নয়, সে আমলকে আমাদের কিছু ভাই সবচেয়ে বিশুদ্ধ মনে করেন! আর সাহাবায়ে কেরাম থেকে যে আমল প্রমাণিত, সেটাকে তারা জাল বলেন!
বর্তমানে যারা বুকের উপর হাত বাধাকে সবচেয়ে বিশুদ্ধ এবং একমাত্র সুন্নাহ মনে করেন, তারা কয়েকটি হাদীস দ্বারা দলিল পেশ করেন। আমরা সে হাদীসগুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা করব।

ক্স তারা ওয়াইল ইবনে হুজর রাযি. এর একটি হাদীস দ্বারা দলিল পেশ করে থাকেন। তিনি বলেন:
صليت مع رسول الله صلى الله عليه و سلم ووضع يده اليمنى على يده اليسرى على صدره
অর্থাৎ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে নামাজ পড়লাম। নামাজে তিনি ডান হাতকে বাম হাতের উপর রেখে বুকের উপর বাধলেন। সহিহ ইবনে খুযাইমা: ৪৭৯।

বর্তমানে যে সকল ভাইয়েরা বুকের উপর হাত বাধেন, তারা জয়িফ হাদীস দেখলেই নাক সিটকান। কিন্তু মজার কথা হলো, নিজের মতের পক্ষে তারা জয়িফ তথা দুর্বল হাদীস দিয়েও দলিল পেশ করে থাকেন। এ হাদীসের একজন বর্ণনাকারী হলেন মুআম্মাল বিন ইসমাঈল। আর মুআম্মাল বিন ইসমাঈলকে ইমাম বুখারী রাহি. ‘মুনকারুল হাদীস’ তথা আপত্তিকর বর্ণনাকারী বলেছেন। এ হিসেবে হাদীসটি জয়ীফ।

সালাফীদের বরণীয় আলেম শায়খ নাসির উদ্দীন আলবানির কিতবাদিতে আমরা দেখেছি যে, সনদে মুআম্মাল বিন ইসমাঈল থাকার কারণে তিনি সে হাদীসকে জয়িফ তথা দুর্বল বলেছেন। মুআম্মাল সম্পর্কে আমরা আলবানি সাহেবের বক্তব্য আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।

ইমাম তাবারানি রহ. ‘আল মু’জামুল আওসাত’ এ আল্লাহর জিকির সংক্রান্ত একটি হাদীস উল্লেখ করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
من أكثر ذكر الله ؛ فقد برىء من النفاق
অর্থাৎ যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে আল্লাহর জিকির করবে, সে মুনাফিকি থেকে মুক্তি পাবে।
উক্ত হাদীস সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে আলবানি মরহুম লিখেন:
وقال الطبراني : “لم يروه عن سهيل إلا حماد ، تفرد به مؤمل” .
قلت : وهو ضعيف ؛ لسوء حفظه وكثرة خطئه .
অর্থাৎ ইমাম তাবারানি বলেন, হাদীসটি হাম্মাদ থেকে মুআম্মাল একাকী করেছেন। এরপর আলবানি মরহুম বলেন, আমি বলি মুআম্মাল হলো জয়িফ তথা দুর্বল। তার স্মৃতি শক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে এবং বর্ণনায় মাত্রাতিরিক্ত ভুল করার কারণে। সিলসিলা জয়িফা: হাদীস নং ৫১২০।

আরেক হাদীসের তাহকিক করতে গিয়ে আলবানি মরহুম বলেন-
قلت : وهذا إسناد ضعيف ؛ مؤمل بن إسماعيل سيىء الحفظ ؛ كما في “التقريب” ،
অর্থাৎ হাদীসটি জয়িফ তথা দুর্বল। কারণ এর বর্ণনাকারী মুআম্মাল বিন ইসমাঈলের স্মৃতিশক্তি ভালো ছিল না। যেমনটা বলেছেন হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি রহ. ‘তাকরিবুত তাহযিব’ এ।. সিলসিলা জয়িফা: ৩৩৩৬।

অপর আরেকটি জায়গায় আলবানি মরহুম বলেন-
مؤمل ابن إسماعيل فإنه ضعيف لسوء حفظه وكثرة خطإه ،
অর্থাৎ মুআম্মাল বিন ইসমাঈল খারাপ স্মৃতিশক্তি এবং অতিরিক্ত ভুল করার কারণে জয়িফ তথা দুর্বল। সিলসিলা জয়িফা: ৮৯০।

আমরা দেখতে পেলাম যে, মুআম্মাল বিন ইসমাঈল সনদে থাকার কারণে তিনটি হাদীসকে শায়খ নাসির উদ্দিন আলবানি জয়িফ তথা দুর্বল বলেছেন। একই বর্ণনাকারী যেহেতু সহিহ ইবনে খুজাইমার বর্ণনায় রয়েছেন, সুতরাং সহজেই আমরা বুঝতে পারছি যে, বুকের উপর হাত বাধা সংক্রান্ত এ বর্ণনাটি জয়িফ তথা দুর্বল।

বুকের উপর হাত বাধার পক্ষে তারা আবু দাউদের আরেকটি বর্ণনা দ্বারা দলিল পেশ করে থাকেন। প্রসিদ্ধ তাবেয়ী তাউস রাহি. বর্ণনা করেন:
كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَضَعُ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى يَدِهِ الْيُسْرَى ثُمَّ يَشُدُّ بَيْنَهُمَا عَلَى صَدْرِهِ وَهُوَ فِى الصَّلاَةِ.
অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজে ডান হাতকে বাম হাতের উপর রাখতেন। এরপর উভয় হাতকে বুকের উপর রাখতেন। আবু দাউদ: ৭৫৯।

আমরা দেখতে পাচ্ছি এ হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কর্মের বর্ণনা দিচ্ছেন তাউস রাহি.। তিনি হলেন তাবেয়ী। নিশ্চিতভাবে তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেন নি। মধ্যখানে অন্য কোন বর্ণনাকারী রয়েছে। হতে পারে মধ্যখানে অন্য কোন তাবেয়ী কিংবা সাহাবী রয়েছেন। পরিভাষায় এ ধরণের হাদীসকে ‘মুরসাল’ বলা হয়।
সালফী ভাইয়েরা কখনও মুরসাল হাদীসকে দলিল হিসেবে মানেন না। ‘মুরসাল’ হওয়ার কারণে অসংখ্য হাদীসকে তারা জয়িফ বলে দেন। সে হিসেবে আবু দাউদের উক্ত হাদীসটিও জয়িফ তথা দুর্বল।
এছাড়া উক্ত হাদীসের একজন বর্ণনাকারী হলেন সুলাইমান বিন মুসা। তিনি একজন আপত্তিকর বর্ণনাকারী। ইমাম বুখারী রাহি. তার ব্যাপারে বলেছেন:
عنده مناكير
অর্থাৎ তার কিছু আপত্তিকর বর্ণনা রয়েছে।
ইমাম নাসাঈ বলেন:
ليس بالقوي في الحديث
অর্থাৎ হাদীস শাস্ত্রে তিনি শক্তিশালী বর্ণনাকারী নয়। আল কাশিফ: ১/৩৯১।

আলী ইবনুল মাদীনী রাহি. তার ব্যাপারে বলেন:
مطعون عليه
অর্থাৎ তিনি সমালোচিত এবং অভিযুক্ত বর্ণনাকারী।
ইমাম সাজী রাহি. বলেন:
عنده مناكير
অর্থাৎ তার কিছু আপত্তিকর বর্ণনা রয়েছে।
হাকিম আবু আহমাদ বলেন:
في حديثه بعض المناكير
অর্থাৎ তার বর্ণিত হাদীসে কিছু আপত্তিকর বিষয় রয়েছে।
এবার বলুন, এ ধরণের বর্ণনাকারীর কোন হাদীস দ্বারা যদি হানাফি মাজহাবের লোকজন দলিল দিতো, তাহলে আহলে হাদীস ভাইরা কখনও সেটা মেনে নিতেন? কখনই না। বরং তারা সেটাকে জয়িফ বলে উড়িয়ে দিতেন! অথচ তারা নিজেদের মত প্রমাণিত করার জন্য এ ধরণের জয়িফ তথা দুর্বল হাদীস দ্বারা দলিল দিচ্ছেন!

সারকথা হলো, এ হাদীসে দুটি সমস্যা রয়েছে। প্রথমত, হাদীসটি মুরসাল। আর মুরসাল বর্ণনাকে সালাফিরা দলিল মনে করেন না। দ্বিতীয়ত, এ হাদীসের একজন বর্ণনাকারী সুলাইমান বিন মুসা হলেন দুর্বল। একাধিক ইমাম তার সম্পর্কে জরাহ তথা নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। সুতরাং এ ধরণের হাদীস নিয়ে দলিল পেশ করা যাবে না।

বুকের উপর হাত বাধার পক্ষে তারা ইবনে আব্বাস রাযি. এর একটি বর্ণনা দ্বারা দলিল পেশ করে থাকেন। তিনি বলেন:
فِى قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ( فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ) قَالَ : وَضْعُ الْيَمِينِ عَلَى الشِّمَالِ فِى الصَّلاَةِ عِنْدَ النَّحْرِ
অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার বাণী ( فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ) এর ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস রাযি. বলেন: এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, নামাজে ডান হাতকে বাম হাতের উপর রেখে গলার উপর রাখা। আস সুনানুল কুবরা: বায়হাকি, ২৪৩৩।

আসুন এ হাদীস সম্পর্কে আমরা ইমাম ইবনুত তুরকুমানি রাহি. এর বক্তব্য জেনে আসি। তিনি বলেন:
روح هذا قال ابن عدى يروى عن ثابت ويزيد الرقاشى احاديث غير محفو ظات وقال ابن حبان يروى الموضوعات لا تحل الرواية عنه وقال ابن عدى عمرو النكرى منكر الحديث عن الثقات يسرق الحديث ضعفه أبو يعلى الموصلي ذكره ابن الجوزى
অর্থাৎ এ হাদীসের একজন বর্ণনাকারী হলেন রাওহ ইবনুল মুসায়্যিব। তার ব্যাপারে ইবনে আদী রাহি. বলেন, সে ছাবিত এবং ইয়াজিদ আর রাকাশি থেকে ভুল হাদীস বর্ণনা করেছে।
ইবনে হিব্বান রাহি. বলেন, সে জাল হাদীস বর্ণনা করত। তার থেকে হাদীস বর্ণনা করা জায়েজ নেই।
এ হাদীসের আরেকজন বর্ণনাকারী হলেন আমর আন নুকরী। তিনি চরম আপত্তিকর বর্ণনাকারী। হাদীস চুরি করতেন। আবু ইয়ালা আল মাওসিলি রাহি. তাকে জয়িফ তথা দুর্বল বলেছেন। ইবনুল জাওযি রাহি. সেটা উল্লেখ করেছেন। আল জাওহারুন নাক্বী: ২/৩০

ইবনুল মুলাক্কিন রাহি. এ হাদীস নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন:
وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ من حَدِيث روح بن الْمسيب ، حَدثنِي عَمْرو بن مَالك النكري ، عَن أبي الجوزاء ، عَن ابْن عَبَّاس رَضِيَ اللَّهُ عَنْهما ্রفصل لِرَبِّك وانحر) (قَالَ) : وضع الْيَمين عَلَى الشمَال فِي الصَّلَاة عِنْد النَّحْرগ্ধ .
وروح هَذَا قَالَ يَحْيَى بن معِين : صُوَيْلِح . وَقَالَ الرَّازِيّ : صَالح لَيْسَ بِالْقَوِيّ . وَقَالَ ابْن عدي : رَوَى عَن ثَابت الْبنانِيّ وَيزِيد الرقاشِي ، أَحَادِيثه غير (مَحْفُوظَة) . وَقَالَ ابْن حبَان : يروي الموضوعات عَن الثِّقَات ، لَا تحل الرِّوَايَة عَنهُ .
وَعَمْرو النكري قَالَ ابْن عدي : مُنكر (الحَدِيث) عَن الثِّقَات ،وَيسْرق الحَدِيث ، ضعفه أَبُو يعْلى الْموصِلِي ؛ كَذَا فِي كتاب (ابْن) الْجَوْزِيّ ، وَتَبعهُ الذَّهَبِيّ فِي ্রالْمُغنِيগ্ধ ، وَقَالَ فِي (الْمِيزَان) : إِنَّه ثِقَة . وَهُوَ عَجِيب مِنْهُ .
অর্থাৎ বায়হাকি বর্ণিত ইবনে আব্বাস রাযি. এর বর্ণিত হাদীসের একজন বর্ণনাকারী হলেন রাওহ। তার ব্যাপারে ইবনুল মাঈন রাহি. বলেন, মোটামোটি পর্যায়ের গ্রহণযোগ্য বর্ণনাকারী।
আবু হাতিম রাজি রাহি. বলেন, তিনি পূণ্যবান হলেও শক্তিশালী বর্ণনাকারী নয়।
ইবনে আদি রাহি. বলেন, তিনি ছাবিত এবং ইয়াজিদ আর রাকাশি থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তার বর্ণনায় ভুল রয়েছে।
ইবনে হিব্বান রাহি. বলেন, সে জাল হাদীস বর্ণনা করত। তার থেকে হাদীস বর্ণনা করা জায়েজ নেই।
এ হাদীসের আরেকজন বর্ণনাকারী হলো আমর নুকরি। তিনি চরম আপত্তিকর বর্ণনাকারী। হাদীস চুরি করতেন। আবু ইয়ালা আল মাওসিলি রাহি. তাকে জয়িফ তথা দুর্বল বলেছেন। ইবনুল জাওযি রাহি. সেটা উল্লেখ করেছেন। ইমাম জাহাবি রাহি.ও ‘আল মুগনী’ তে তাকে জয়িফ বলেছেন। কিন্তু ‘মিজানুল এ’তেদাল’ এ তাকে ছিক্বাহ বলে দিয়েছেন! এটি তার থেকে একটি আশ্চর্যজনক বিষয়। আল বদরুল মুনির: ৪/৮১।

আশা করি দুইজন ইমামের বক্তব্য থেকে আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে, এ হাদীসটি দলিলযোগ্য কোন হাদীস নয়। কারণ , এ হাদীসের সনদে দুইজন চরম আপত্তিকর বর্ণনাকারী রয়েছে।
মূলত সূরা কাউসারে ‘ওয়ানহার’ বলে আল্লাহ তাআলা কুরবানি করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ আয়াতের তাফসির করতে গিয়ে আল্লামা ইবনে কাসির রাহি. লিখেন:
قال ابن عباس، وعطاء، ومجاهد، وعكرمة، والحسن: يعني بذلك نحر البُدْن ونحوها. وكذا قال قتادة، ومحمد بن كعب القرظي، والضحاك، والربيع، وعطاء الخراساني، والحكم، وإسماعيل بن أبي خالد، وغير واحد من السلف.
অর্থাৎ ইবনে আব্বাস রাযি., আতা, মুজাহিদ, ইকরিমা, এবং হাসান বলেন, এখানে প্রাণী কুরবানি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনটি বলেছেন কাতাদা, মুহাম্মাদ বিন কাব আল কুরাজি, জাহহাক, রাবি;, আতা আল খুরাসানি, হাকাম, ইসমাঈল বিন আবি খালিদ এবং আরও অনেক সালাফের ইমামগণ। তাফসিরে ইবনে কাসির: ৮/৪৯৮।

এরপর তিনি এ আয়াতের আরও কিছু তাফসির উল্লেখ করেন। এর মাঝে বুকের উপর হাত বাধার বর্ণনাও রয়েছে। সে বর্ণনার ব্যাপারে তিনি বলেছেন, এটি সহিহ নয়। সবগুলো মতামত উল্লেখ করার পর তিনি বলেন:
كل هذه الأقوال غريبة جدا والصحيح القول الأول، أن المراد بالنحر ذبح المناسك؛
অর্থাৎ এ মতগুলো খুবই অপরিচিত। প্রথমটি হলো বিশুদ্ধ মত। অর্থাৎ এ আয়াতে নাহর দ্বারা কুরবানির পশু জবেহ করা উদ্দেশ্য। তাফসিরে ইবনে কাসির: ৮/৪৯৮।

বাংলাদেশের আহলে হাদীস ভাইরা অনেক চালাক। নিজের মতের বিপক্ষে গেলে তারা সহিহ হাদীসের উপরও আমল করতে চান না। বরং বিভিন্ন কৌশলে সেটাকে তারা জয়িফ তথা দুর্বল বানিয়ে ফেলতে চান। আবার নিজেদের পক্ষে গেলে পরিত্যাজ্য হাদীস দ্বারাও দলিল পেশ করেন!

 

 

Check Also

সদকায়ে ফিতর টাকা দ্বারা আদায় করার দলিল নেই?

শায়খ কাজি ইবরাহিম সাহেবের ফতোয়া দেখলাম। তার বক্তব্য অনুসারে টাকা দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায়ের কথা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *