তামিমা এবং তাবিজ কী এক? একটি পর্যালোচনা

তামিমা এবং তাবিজ কী এক? একটি পর্যালোচনা
রেজাউল কারীম আবরার

সব ধরণের তাবিজকে আমাদের দেশে শিরক বলে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। দলিল হিসেবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিস “মান আল্লামা তামিমা ফাক্বাদ আশরাকা” অর্থাৎ যে তামিমা লটকালো, সে শিরক করল” পেশ করা হয়।
আমরা স্পষ্টভাবে বলি যে, কুরআনের আয়াত, হাদীস, কিংবা দোয়া লিখে তাবিজ লটকালে সেটাকে তামিমা বলে না। পাথর জাতীয় কোন কিছু লটকানোকে তামিমা বলে। সেটা সবার মতে শিরক। আজকের পর্বে আমরা দেখাব যে, ১৪ শত বছরের স্বীকৃত ইমামগণ তামিমা এর কী অর্থ করেছেন? এটা স্পষ্ট হয়ে গেলে আশা করি মূল মাসআলা বুঝতে আর কোন সমস্যা থাকবে না।

১. আরবী ভাষার প্রাচীন কিতাব কিতাবুল জীম-এর লেখক আবু আমর আশশায়বানী (মৃত্যু : ২০৬ হিজরী) তার এ অনবদ্য গ্রন্থে লেখেন-
قال الأكوعي : التمائم الخرز الذي يعلق على الإنسان أو الدابة مخافة العين.
ইমাম আকুয়ী রাহি. বলেন: তামিমা হলো সে ছোট ছোট পাথরের নাম, যেগুলো মানুষ কিংবা চতুষ্পদ জন্তুকে লটকানো হয় বদ নজর থেকে বাঁচার জন্য। কিতাবুল জীম ১/৩২।

২. একই সময়ের আরেক আরবী ভাষাবিদ ইমাম আবু যায়দ (মৃত্যু ২১৫ হিজরী) বলেন-
التميمة خرزة رقطاء تنظم في السير ثم يعقد في العنق
তামিমা বলা হয় ছোট কালো পাথরকে, যেগুলোকে সুতোয় গেঁথে গাড়ে লটকানো হয়। গরীবুল হাদীস ১/১৮৩।

৩. প্রখ্যাত ফকীহ ও আরবী ভাষাবিদ আবু উবাইদ কাসিম ইবনে সাল্লাম রাহ. যে হাদীসে ঝাড়ফুঁক ও তামীমাকে শিরক বলা হয়েছে তা সম্পর্কে বলেন-
إنما أراد بالرقى والتمائم عندي ما كان بغير لسان العربية مما لا يدرى ما هو.
অর্থাৎ ঝাড় ফুঁক এবং তামিমা দ্বারা আমার মতে উদ্দেশ্য হলো যেটা আরবি ভাষা ছাড়া অন্য কোন ভাষায় হয় এবং অর্থ অস্পষ্ট হয়। গরীবুল হাদীস ২/১৯০। ইসলাহুল গালাত: ৫৪।

আবু উবায়দ-এর কথা থেকে বোঝা যায় যে তামীমা দু ধরনের। এক. যা আল্লাহর নাম, কুরআনের আয়াত বা যিকির দিয়ে হয়, দুই. যা কুফরি কালাম বা অন্য কিছু দিয়ে বা বোঝা যায় না এমন কোনো ভাষায় হয়।

আবু উবায়দ রাহ. এ কিতাবটি রচনা করেন হাদীসের দুর্বোধ্য শব্দাবলির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে। এতে কিছু ভুল-বিচ্যুতিও হয়ে যায়; এগুলো নিয়ে আবার কিতাব লেখেন তৎকালীন আরেক আরবী ভাষাবিদ ইবনে কুতাইবা রাহ.। তিনি স্বতন্ত্র একটি কিতাব রচনা করে তার নাম দেন إصلاح الغلط । সে রচনায় আবু উবায়দের উক্ত বক্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন-
و هذا يدل أن التمائم عند أبي عبيد المعوذات التي يكتب فيها وتعلق. قال أبو محمد : و ليست التمائم إلا الخرز وكان أهل الجاهلية يسترقون بها ويظنون بضروب منها أنها تدفع عنهم الآفات.
র্থাৎ আবু উবায়দার বক্তব্য থেকে বুঝা যায় যে তিনি সব ধরণের তাবিজকে তামিমা মনে করেন। কিন্তু তার বক্তব্য সঠিক নয়। তামিমা হলো সে ছোট পাথরের নাম, জাহেলি যুগের লোকেরা যা দিয়ে ঝাড় ফুঁক করত এবং মনে করত, এটা তাদের বিপদ থেকে রক্ষা করবে। ইসলাহুল গালাত: ৫৪।

৪. ইমাম মুনজিরি বলেন:
لتميمة: يقال:إنها خرزة كانوا يعلقونها، يرون أنها تدفع عنهم الآفات،
তামিমা বলা হয় ছোট ছোট পাথরকে, জাহেলি যুগে তারা লটকাতো এবং মনে করত এগুলো তাদের বিপদ থেকে রক্ষা করবে। আত তারগিব ওয়াত তারহিব: ৪/২৫০।

৫. খাত্তাবি রাহি. (৩৮৮ হি.) বলেন:
إنها خرزة كانوا يتعلقونها يرون أنها تدفع عنهم الآفات. واعتقاد هذا الرأي جهل وضلال إذ لا مانع ولا دافع غير الله سبحانه ولا يدخل في هذا التعوذ بالقرآن والتبرك والاستشفاء به لأنه كلام الله سبحانه والاستعاذة
অর্থাৎ তামিমা হলো ছোট ছোট পাথর, যেগুলো তারা লটকিয়ে রাখত এবং মনে করতে, এগুলো তাদের বিপদ দূর কর।ে এ আকিদা মূর্খতা এবং ভ্রষ্টতাপূর্ণ। কারণ, বিপদ থেকে বাঁচানোর এবং বিপদ দূর করার একমাত্র মালিক হলেন আল্লাহ। মাআলিমুস সুনান: ৪/২২০

৬. ইবনে আবদিল বার মালেকি রাহি. বলেন:
التَّمِيمَةُ فِي كَلَامِ الْعَرَبِ الْقِلَادَةُ هَذَا أَصْلُهَا فِي اللُّغَةِ وَمَعْنَاهَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مَا عُلِّقَ فِي الْأَعْنَاقِ مِنَ الْقَلَائِدِ خَشْيَةَ الْعَيْنِ أَوْ غَيْرِهَا مِنْ أَنْوَاعِ الْبَلَاءِ
অর্থাৎ আরবি ভাষায় তামিমা বলা হয় মালা কে। আর আলেমদের নিকট তামিমার অর্থ হলো, বদ নজর এবং অন্যান্য বিপদ থেকে বাঁচার জন্য গলায় লটকানো মালার নাম। আত তামহীদ: ১৭৮/১৬২

৭. ইবনে হাজার আসকালানি রাহি. বলেন:
وَالتَّمَائِمُ جَمْعُ تَمِيمَةٍ وَهِيَ خَرَزٌ أَوْ قِلَادَةٌ تُعَلَّقُ فِي الرَّأْسِ كَانُوا فِي الْجَاهِلِيَّةِ يَعْتَقِدُونَ أَنَّ ذَلِكَ يَدْفَعُ الْآفَاتِ
অর্থাৎ তামিমা বলা হয় ছোট পাথর এবং মালাকে, যা মাথায় লটকানো হয়। জাহেলি যুগের লোকজন মনে করত যে এগুলো বিপদ দূর করবে। ফাতহুল বারি: ১০/১৯৬

৮. জালাল উদ্দিন সুয়ুতি রাহি. বলেন:
التَّمَائِمِ جَمْعُ تَمِيمَةٍ وَهِيَ خَرَزَاتٌ كَانَتِ الْعَرَبُ تُعَلِّقُهَا عَلَى أَوْلَادِهِمْ يَتَّقُونَ بِهَا الْعَيْنَ فِي زَعْمِهِمْ فَأَبْطَلَهُ الْإِسْلَامُ
অর্থাৎ তামিমা বলা ছোট পাথরকে, বদ নজর থেকে বাঁচার জন্য জাহেলি যুগের লোকজন যা লটকিয়ে রাখত। ইসলাম সেটাকে বাতিল করে দিয়েছে। হাশিয়াতুস সুয়ুতি আলা সুনানিন নাসায়ি: ৮/১৩৯

৯. জুরকানি রাহি. বলেন:
وَالتَّمِيمَةُ: مَا عُلِّقَ مِنَ الْقَلَائِدِ خَشْيَةَ الْعَيْنِ وَنَحْوِ ذَلِكَ
অর্থাৎ তামিমা বলা হয়, বদ ইত্যাদি থেকে বাঁচার জন্য যে মালা লটকানো হয়, সেটার নাম। শারহুয যুরকানী: ৩/৬৫১।

১০. আশরাফ সিদ্দিক আযিমাবাদি রাহি. বলেন:
التَّمَائِمُ جَمْعُ تَمِيمَةٍ وَهِيَ خَرَزَاتٌ كَانَتِ الْعَرَبُ تُعَلِّقُهَا عَلَى أَوْلَادِهِمْ يَتَّقُونَ بِهَا الْعَيْنَ فِي زَعْمِهِمْ فَأَبْطَلَهَا الْإِسْلَامُ
র্থাৎ তামিমা বলা ছোট পাথরকে, বদ নজর থেকে বাঁচার জন্য জাহেলি যুগের লোকজন যা লটকিয়ে রাখত। ইসলাম সেটাকে বাতিল করে দিয়েছে। আউনুল মাবুদ ওয়া হাশিয়াতু ইবনিল কায়্যিম: ১০/২৬২

১১. ইবনে কুতাইবা (২৭৬ হি.) বলেন:
وَالتَّمَائِمُ خَرَزُ رُقُطٍ، كَانَتِ الْجَاهِلِيَّةُ تَجْعَلُهَا فِي الْعُنُقِ وَالْعَضُدِ، تَسْتَرِقِي بِهَا، وَتَظُنُّ أَنَّهَا تَدْفَعُ عَنِ الْمَرْءِ الْعَاهَاتِ، وَتَمُدُّ فِي الْعُمُرِ،
অর্থাৎ তামিমা বলা হয় ছোট কালো পাথরকে। জাহেলি যুগের লোকেরা যেটা গলায় এবং বাহুতে লটকিয়ে রাখত এবং ঝাড় ফঁক করত। তারা মনে করত এটা বিপদ দূর করবে এবং বয়স বৃদ্ধি করবে। তাওয়িলু মুখতালিফিল হাদীস: ১/৪৬৬।

১২. ইমাম বায়হাকি রাহি. বলেন:
قال البيهقي: يقال: إن التميمة خرزة كانوا يتعلقونها [يرون أنها] تدفع عنهم الآفات
অর্থাৎ তামিমা বলা হয় ছোট পাথরকে, বিপদ দূর করবে এ ধারণায় লোকেরা পাথর লটকাতো। তাফসিরে কুরতুবি: ১০/৩২০।

১৩. ইমাম কুরতুবি রাহি. বলেন:
التَّمِيمَةُ فِي كَلَامِ الْعَرَبِ الْقِلَادَةُ، وَمَعْنَاهُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مَا عُلِّقَ فِي الْأَعْنَاقِ مِنَ القلائد خشية العين أو غيرها من أنواع البلاء
অর্থাৎ আরবি ভাষায় তামিমা বলা হয় মালা কে। আর আলেমদের নিকট তামিমার অর্থ হলো, বদ নজর এবং অন্যান্য বিপদ থেকে বাঁচার জন্য গলায় লটকানো মালার নাম। তাফসিরে কুরতুবি: ১০/৩২০।

১৪. আবু মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ ইবনু মুসলিম আদ দিইনাওয়ারি (২৭৬ হি.) বলেন:
وَبَعض النَّاس يتَوَهَّم أَن المعاذات هِيَ التمائم وَيَقُول فِي قَول عبد الله إِن التمائم والرقى والتولة من الشّرك والرقى الْمَكْرُوهَة مَا كَانَ بِغَيْر لِسَان الْعَرَبيَّة وَلَيْسَ كَذَلِك إِنَّمَا التميمة الخرز وَلَا بَأْس بالمعاذات إِذا كتب فِيهَا الْقُرْآن وَأَسْمَاء الله عز وَجل
অর্থাৎ কিছু কিছু মানুষ মনে করে যে, সব ধরণের তাবিজ হলো তামিমা। বাস্তবে ব্যাপারটি এমন নয়। তামিমা বলা হয় ছোট ছোট পাথরকে। যদি কুরআনের আয়াত লিখে কিংবা আল্লাহর নাম লিখে তাবিজ লটকায়, তাহলে কোন সমস্যা নেই। তাহযিবুল লুগাহ: ১/৫০

১৫. আবু মানসুর আজহারি (৩৭০ হি.) বলেন:
وَالْأَصْل فِي ذَلِك أَن الصبيَّ مَا دَامَ طِفلاً تعلِّق عَلَيْهِ أمُّه التمائمَ، وَهِي الخَرزُ تعوِّذه بهَا من الْعين، فَإِذا كبِر قُطعتْ عَنهُ.
অর্থাৎ তামিমা হলো বদ নজর থেকে বাঁচার জন্য ছোট বাচ্চাদের গলায় লটকানো পাথরের নাম। বাচ্চা বড় হয়ে যাওয়ার পর যা কেটে ফেলা হতো। তাহযিবুল লুগাহ: ১৪/১৮৪
আল মুখাসসাস: ৪/২১. খলি ইবরাহিম জাফফাল তাহকিক, দারু ইহয়াতিত তুরাছিল আরাবি থেকে প্রকাশিত।

১৬. আবুল হাসান মুরসি রাহি. (৪৫৪ হি.) বলেন:
التّميمة: خرَزة رقْطاء تُنظَم فِي السّير ثمَّ يُعقَد فِي الْعُنُق، وَقيل: هِيَ قلادة يُجعَل فِيهَا سُيورٌ وعُوَذٌ وَالْجمع تمائم،
অর্থাৎ তামিমা বলা হয় ছোট ছোট কালো পাথরকে, যেগুলো গলায় লটকানো হয়। কেউ কেউ মালা লটকানোকেও তামিমা বলেছেন। আল মুখাসসাস: ৪/২১. খলি ইবরাহিম জাফফাল তাহকিক, দারু ইহয়াতিত তুরাছিল আরাবি থেকে প্রকাশিত।

১৭. ইবনুল জাওযি রাহি. বলেন:
فِي الحَدِيث أَن التمائم من الشّرك وَهِي خَرَزَات كَانَت الْعَرَب تعلقهَا عَلَى الصّبيان يَتَّقُونَ بهَا الْعين بزعمهم
অর্থাৎ তামিমা বলা হয় ছোট ছোট পাথরকে, জাহেলি যুগের লোকেরা তাদের ধারণা অনুযায়ী বদ নজর থেকে বাঁচার জন্য বাচ্চার গলায় লটকিয়ে রাখত। গারিবুল হাদিস: ১/১১২

১৮. ইমাম আবুল ফাতহ খাওয়ারিজমি (৬১০ হি.) বলেন:
وَبَعْضُهُمْ يَتَوَهَّمُ أَنَّ الْمُعَاذَاتِ هِيَ التَّمَائِمُ، وَلَيْسَ كَذَلِكَ إنَّمَا التَّمِيمَةُ هِيَ الْخَرَزَةُ وَلَا بَأْسَ بِالْمُعَاذَاتِ إذَا كُتِبَ فِيهَا الْقُرْآنُ أَوْ أَسْمَاءُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ.
অর্থাৎ কেউ কেউ তাবিজকে তামিমা মনে করেন। বাস্তবতা এমন নয়। তামিমা একমাত্র ছোট পাথরের নাম। কুরআন কিংবা আল্লাহর নাম দিয়ে তাবিজ লটকাতে সমস্যা নেই। আল মাগরিব: ১/৬২

১৯. ইবনে মানযুর আফ্রিকি বলেন:
التَّمَائِمَ، وَهِيَ الْخَرَزُ، تُعَوِّذه مِنَ الْعَيْنِ،
র্থাৎ তামিমা বলা ছোট পাথরকে, এর মাধ্যমে বদ নজর থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়। লিসানুল আরব: ১০/২৫৯
আরেক জায়গায় তিনি বলেন:
والتَّمِيمُ: العُوَذ، وَاحِدُتُهَا تَمِيمةٌ. قَالَ أَبو مَنْصُورٍ: أَراد الخَرز الَّذِي يُتَّخَذ عُوَذاً. والتَّمِيمةُ: خَرزة رَقْطاء تُنْظَم فِي السَّير ثُمَّ يُعقد فِي العُنق، وَهِيَ التَّمائم
অর্থাৎ আবু মানসুর বলেন, তামিমা বলা হয় ছোট ছোট পাথর কনাকে, যা ধারাবাহিকভাবে মালায় গাথা হতো। এরপর বাচ্চাদের গলায় লটকানো হতো। লিসানুল আরব: ১২/৬৯

২০. মুরতাজা হাসান আজ জাবিদি রাহি. বলেন:
التَّمائمَ خَرَزٌ يُثْقَبُ ويُجْعَل فِيهَا سُيُورٌ وخُيوط تُعَلّق بهَا. قَالَ وَلم أَرَ بَيْنَ الْأَعْرَاب خِلافًا أنّ التَّمِيمَةَ هِيَ الخَرَزَةُ نَفْسُها.
র্থাৎ তামিমা বলা হয় ছোট পাথরের নাম, যা আরবের লোকজন মালা কিং সুতাতে গেঁথে বাচ্চাদের গলায় লটকিয়ে রাখত। এ ব্যাপারে আমি আরবদের মাঝে কোন মতবিরোধ দেখি নি। তাজুল আরুস: ৩১/৩৩৫

২১. শামছুদ্দীন যাহাবী রাহি. বলেন:
التمائم جمع تَمِيمَة وَهِي خَرَزَات وحروز يعلقها الْجُهَّال على أنفسهم وَأَوْلَادهمْ ودوابهم يَزْعمُونَ أَنَّهَا ترد الْعين وَهَذَا من فعل الْجَاهِلِيَّة وَمن اعْتقد ذَلِك فقد أشرك
র্থাৎ তামিমা বলা হয় ছোট পাথর দানাকে, মূর্খরা যেগুলো নিজেরা, নিজেদের সন্তানদের এবং পশুর গলায় লটকাতো এবং মনে করত, এটা তাদের বদনজর থেকে রক্ষা করবে। এটি জাহেলি যুগের কাজ। যে এমন আকিদা লালন করবে, সে মুশরিক হয়ে যাবে। আল কাবায়ির: ১৬।

এখানে আমি উম্মাহর সর্বজন স্বীকৃত ২১ জন ইমামের বক্তব্য নকল করেছি। তারা সকলেই তামিমা এর কী অর্থ করেছেন, সেটা আমাদের কাছে আশা করি স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাদের সকলের মতেই গলায় ছোট পাথর লটকালে সেটাকে তামিমা বলা হয়। আয়াত কিংবা দোয়া লটকালে সেটা তামিমা নয়। এরপরও যারা তামিমার হাদীস দিয়ে তাবিজকে শিরক বলেন, তাদের জন্য হেদায়াতের দোয়া করা ছাড়া কিছুই করার নেই।

 

Check Also

সদকায়ে ফিতর টাকা দ্বারা আদায় করার দলিল নেই?

শায়খ কাজি ইবরাহিম সাহেবের ফতোয়া দেখলাম। তার বক্তব্য অনুসারে টাকা দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায়ের কথা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *