পৃথিবীতে মানুষকে আলোর পথে পথ প্রদর্শন করার জন্য আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে অসংখ্য নবী এবং রাসূল পাঠিয়েছেন। নবীদের সূচনা হয়েছিল আদম আ. এর মাধ্যমে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা সে ধারার পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছেন।
ইসলামী শরীয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ আকীদা হলো খতমে নবুওয়ত। অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শেষ নবী স্বীকার করা। কেউ এর বিপরিত আকীদা লালন করলে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে। এই বিষয়কে সামনে রেখেই জনপ্রিয় তরুণ আলেম মুফতী রেজাউল করীম আবরারের ১৪তম বই “খতমে নবুওয়াত এবং প্রতিশ্রুত মাসীহ”বাজারে বের হয়েছে।
বইটি ইতিমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় এবং ইলমে অঙ্গনে ব্যাপক সমাদৃত এই আলেমের ধারাবাহিক ইলমি কার্যক্রম হিসেবে এই বইটিও কুরআন হাদিসের বয়ান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। বইয়ের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে মুফতী রেজাউল করীম আবরার বলেন – খতমে নবুওয়তের অকাট্য আকীদায় যুগে যুগে অসংখ্য মানুষ সন্দেহ ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। অনেকে নিজেকে নবী হিসেবে দাবী করেছে। কুরআন, সুন্নাহ এবং ১৪ বছরে গত হওয়া সাহাবা, তাবেয়ী এবং অন্যান্য ইমামদের ঐক্যমতে খতমে নবুওয়তের ব্যাপারটি নিয়ে এ বইয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি বই সম্পর্কে আরও বলেন – খ্রিস্টানরা ঈসা আ. কে আল্লাহর পুত্র বিশ্বাস করত। সে হিসেবে তাদের পাপের অগ্রীম কাফফারা হিসেবে তারা ঈসা আ. কে শূলিতে চড়াতে চেয়েছিল। আল্লাহ তাআলা ঈসা আ. কে জীবিত অবস্থায় আকাশে তুলে নেন। দাজ্জালের ফিতনা যখন পৃথিবী ঘিরে নেবে, মুসলমানদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ঈসা আ. পূণরায় পৃথিবীতে অবতরণ করবেন। পৃথিবীতে তিনি কখন আসবেন? এসে কোথায় অবস্থান করবেন? কতদিন থাকবেন? দাজ্জালের সাথে কোথায় যুদ্ধ করবেন? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীসে সে ব্যাপারে বিস্তারিত দিক নির্দেশনা প্রদান করে গিয়েছেন।
সে সংক্রান্ত সহীহ বর্ণনাগুলো জমা করে “খতমে নবুওয়াত এবং প্রতিশ্রুত মাসীহ” লেখা হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে মুজাহিদ প্রকাশনী।
এ বই ছাড়াও লেখকের অন্যান্য বই হলো, “কুরআন সুন্নাহর আলোকে বারো মাসের করণীয় ও বর্জনীয়”, “আপনি কীভাবে নামায পড়বেন”, “ওরিয়েন্টালিস্ট: স্বরুপ সন্ধান”, “কালেমার প্রামাণিকতা” “কুরআন সুন্নাহর আলোকে বেদআত”, “জান্নাতে যাওয়ার হাজার পথ” ইত্যাদি।